৭ই মার্চের কবিতা [৭ টি PDF]
[ad_1]
আসছালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা তোমাদের ৭ই মার্চ নিয়ে কিছু কবিতা শেয়ার করবো। যা ভিবিন্ন প্রতিযোগিতায় কবিতা আবৃত্তি করবে তোমাদের জন্য উপকারে আসবে।
৭ই মার্চ– শরিফুল ইসলাম
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ
রেসকোর্স ময়দানে
জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল
বিদ্রোহী শ্রোতার জন্য,
একটি কবিতা শুনে
অপেক্ষার উত্তেজনা হবে ধন্য।
দিগন্ত প্লাবিত একখন্ড
আকাশের নিচে,
মিশেছিল প্রানের প্রিয়
ধু ধু মাঠের সবুজে।
কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে
ছুটে এসেছিল এই মাঠে,
মৃত্যু হাতের মুঠোয়, চোখে স্বপ্ন
জয় বাংলার শ্লোগান ঠোটে।
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন এসে
দৃপ্ত পায়ে হেঁটে।
ঝলকে পলকে হৃদয়ে লাগিল দোলা,
তরীতে উঠিল পাল,
জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
চোখেতে লোনা জল।
সোনালী সূর্যের সকল দুয়ার খুলি
কে রোধে সে বজ্রকন্ঠ বাণী,
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে
শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি:
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,
‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।
৭ই মার্চ-অধ্যক্ষ এম. ইউনুস ফার্সি
বঙ্গবন্ধু এক জীবন্ত ইতিহাস
উত্তাল সংগ্রামের নাম,
বাংলার আকাশে বাতাসে ইথারে
ছড়িয়েছে তার বীরত্বের নিশাণ।
বঙ্গবন্ধু বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য
এক সফল বিপ্লবের নাম,
তিনি বাংলার বীরত্বগাথা মহাকাৰ্য
এক মহাকবির নাম।
‘১৯৫২ থেকে ৭১’ বঙ্গবন্ধু ছিলেন তেজোদীপ্ত
রুদ্র-মূর্তি রবি সম
দূর করলেন যতো জঞ্জাল বৈষম্য
অন্যায় অন্যায্য অসম।
অবর্ণনীয় জেল জুলুম নির্যাতন
কখনো পরোয়া করেননি তিনি,
সমুদ্রসম মহান নেতার কাছে
বাঙালী জাতি তাই চিরঋণী।
৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে উচ্চারিত
মন্ত্রমুগ্ধকর জ্বালাময়ী ভাষণ,
প্রবলবেগে ভেঙ্গে চুরমার হলো
পাক-শাসক গোষ্ঠীর অপ-শাসন।
বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের পঙক্তিমালা
আলোক বিচ্ছুরিত শাণিত কথা,
অতুলনীয় অসাধারণ কাব্যিক ছন্দময়
যেন জীবন্ত কিংবদন্তীর রূপকল্প কথা।
বঙ্গবন্ধু নয় শুধু একজন
ম্যান্ডেলা-সুভাষবসু-মহাত্মা,
বঙ্গবন্ধু বীর বাঙ্গালীর হৃদয়
নিঃসৃত মহাকাব্য কবিতা ।
বিশ্ব দরবারে শ্রেষ্ঠ ভাষণ
বিবেচিত যে কয়টি,
সর্বকালের সেরা ভাষণ
অন্যতম এটি।
আব্রাহাম লিংকন, ম্যান্ডেলার
ভাষণ বিবেচিত হয় অনন্য অসাধারণ,
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণও
অন্যতম জাতি ভুলবে না আমৃত্যু আমরণ।
৭ই মার্চের ভাষণ কবিতা
স্বাধীনতার অধরা অমিয় সুধা
পেয়েছি ওগো বীর সেই ভাষণে
তৃষা মেটে লাগে ক্ষুধা
; পেতে স্বাধীনতার স্বপ্নিল ডানা
৭ই মার্চের ভাষণে জাগে জল্পনা।
ওহে বঙ্গবন্ধু তোমার সেই ভাষণ
লাল-সবুজের আবৃত্তে
বিশ্বমানচিত্রে আজ অঙ্কন
সেই পটভূমির অন্তরালে
তোমারি কৃর্তি মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড
বাঙালির ঐতিহাসিক কোলে।
৭ই মার্চের অমিয় সুধা পান
পেয়েছিল একাত্তরে যুদ্ধের ময়দানে বারংবার আশার সঞ্চারে
লক্ষ-লক্ষ জনতা দিয়েছিল প্রাণ
তাইতো ৭ই মার্চের ভাষণ চির অম্লান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-তানিয়া আক্তার
মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, দেখিনি মার্চের উত্তাল দিনগুলো
তবুও স্পষ্ট বেজে উঠে
তোমার বজ্রকন্ঠ,সেই সুর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর।
আজও মনে হয় এই আমিই যেন
সু-স্পষ্ট সেদিন,
৭ ই মার্চের বুক কাঁপানো ভাষণ
নিজ কানে শুনেছি, দেখেছি নিজ চোখে।
প্রত্যেক নিভৃত ক্ষণে মওতা ছড়ায় যথারীতি
এখনো তোমার সংগ্রামী আহবানে জেগে উঠে প্রাণ
হে মহান নায়ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এখনো,
গায়ের লোম,
উত্তেজিত হয়ে উঠে
চোখে জমে জল
যখন শুনি,
” এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
এখনো প্রাণের স্তরে স্তরে বাজে
তোমার সে সুর
বাংলার মানুষের প্রাণের গভীরে
তোমার স্মৃতিরা থাকে অবিনশ্বর জেগে
শান্তির ললিত বাণী নিয়ে
এসেছিলে তুমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজ প্রভাষক:-অর্থনীতি।
সেই নদীর নাম রেসকোর্স ময়দান
ইতিহাস হয়েছে
মুক্তির ঢালে দিয়ে শান
লাখো মানুষের রেসকোর্স ময়দান,
তীব্র খরস্রোতে বইছে
ঢল নেমেছে ভেঙ্গে বান,
এ নদীর নাম রেসকোর্স ময়দান।
মুক্তিকামী মানুষের বহমানতা
এ নদীর নাব্য
এখানে আসবেন রাজনীতির অমর কবি
শোনাবেন মহাকাব্য।
দুয়ারে দুয়ারে
জোয়ারে জোয়ারে
উত্তাল ঢেউ গর্জে,
বিশ্ব ঐতিহ্যের সেই সাতই মার্চে,
এ নদীর কলতান
এ নদীর ঐকতান
প্রমত্তা নদী রেসকোর্স ময়দান।
উপস্থিত সকলে অধিষ্ঠিত আসনে
নিমগ্ন অমরত্বের ভাষণে,
ইতিহাস নাড়া দেয় সেই ধ্বনি
মানুষের ঢল অদ্ভুত ঐকতান
গড়ে মুক্তির দর্শন ,
কালজয়ী এক সিম্ফনি
রাজনীতির কবি উঁচিয়ে তর্জনী ।
জ্বলে উঠে শিখা লেলিহান
সেই রেসকোর্স ময়দান
এ নদী উত্তাল অবিরাম
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম ।
রক্তের দামেই স্বাধীনতা কিনব
রক্ত যখন দিয়েছি আরো রক্ত দিব,
যার যা কিছু আছে অবশিষ্ট
ঝাঁপিয়ে পড় তাই দিয়ে হয়ে আদিষ্ট ।
অমরত্বের কবি বলেছেন
মহাকাব্যের বানী,
গুণমণি তিনি সকলেই জানি,
রাজনীতির কবি
তোমার মধুর বচনে
টেনে আনে যুগ থেকে যুগে সন্মুখ পানে
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে স্বাধিকারের টানে ।
নতুন প্রজন্মের কাছে রাজনীতির কবি
আজকের দিনের স্কুলের বইয়ের পাতা
ক্লাসের পাঠে ভরছে খাতা,
কড়া চোখ শাসায় শীতল উষ্ণ
শিক্ষকের প্রশ্ন-
বল, কে বাংলাদেশের জাতির জনক ?
একেবারে স্পষ্ট উত্তর
নেই এতটুকু নড়বড়
‘’উত্তাল ঢেউ গর্জে
বিশ্ব ঐতিহ্যের সেই সাতই মার্চে’’
মুক্তির সিম্ফনি
উঁচিয়ে তর্জনী,
জন্মদাতা বাংলাদেশ জন্মের কেন্দ্রবিন্দু
তিনি শেখ মুজিবুর রহমান তিনি বঙ্গবন্ধু ।
পঞ্চাশ বছরে তোমার উপাধি
তোমার চরণ যুগল ধরি
অভিনন্দিত সম্মানিত করি,
পঞ্চাশে মহীরুহ বঙ্গবন্ধু
বিন্দু থেকে সিন্ধু।
Tag:৭ই মার্চের কবিতা [৭ টি PDF],৭ই মার্চে কবিতা আবৃত্তি