লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো জেনে নিন
একটু গোশত-মাংস অথবা আবহওয়া গরম হলেই লেবু – ঠান্ডা লেবুর শরবত আমাদের আকর্ষিত করেই। এটা যে শুধু স্বাদ কিংবা ঘ্রাণে ভিন্নতা আনায়ন করে তা নয়, পাশাপাশি রয়েছে লেবুর উপকারিতা এবং সাথে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে রয়েছে কিছু অপকারিতা। লেবুর ব্যবহার বর্তমানে শুধু খাবারেই সীমাবদ্ধ নেই, এটা এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে এর উপকারিতা সম্পন্ন গুণাগুণের কারণে। যেমন- লেবুর খোসার উপকারিতা রয়েছে তেমনি একই ভাবে লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা, লেবুর উপকারিতা চুলের যত্নের জন্য, মুখের ত্বকে লেবুর উপকারিতা, গরম জলে লেবুর রসের উপকারিতা, ত্বকের যত্নে এবং ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে পাতি লেবুর ও অনকে উপকারিতা রয়েছে। আপনার নিকট একটি প্রশ্ন থাকলো, লেবুর রস মুখে দিলে কি হয়? ( অশ্বগন্ধার বহুমুখী উপকারিতা ও নাকের পলিপাস দূর করার দুরুণ উপায় সম্পর্কে জানুন )
আমাদের বাঙ্গালি সংস্কৃতিতে খাবারে যেমন লেবুর ব্যবহার দৃশ্যণীয়, একই ভাবে চিকিৎসা বিজ্ঞানেও ডাক্তারগণ রোগীদের সমস্যার উপর ভিত্তি করে লেবু খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মূলত লেবু একটি উপকারি ফল আবার একই সাথে স্বাদ বৃদ্ধি কারী সালাদও। চলুন এখন জানা যাক লেবুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। লেবুতে কী কী পুষ্টিগুণ থাকে তা সংক্ষেপে জানা যাক। ( দাঁতের যত্ন যেভাবে নিবেন এবং কালো থেকে ফর্সা হওয়ার বেশ কিছু উপায় সম্পর্কে জানুন )
লেবুর পুষ্টিগুণ
লেবুতে রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান। যা আমাদের মানবদেহের জন্য অনেক উপকারী। লেবুর পুষ্টি উপাদান গুলো হলো- লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সাইট্রিক এসিড, অ্যাবসরবিক এসিড, ভিটামিন-সি, শরীরের জন্য উপকারী খনিজ পদার্থ। লেবুতে থাকা ইলোকট্রোলাইটিস হিসেবে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গনেসিয়াম আরো অনেক প্রকার ইলোকট্রোলাইটিস উপাদান। লেবুর পানি আমাদের দেহে প্রয়োজনীয় এনজাইম তৈরি করে।
এছাড়াও লেবুর খ্যদ্য উপাদানের মধ্যে রয়েছে পেকটিন, আঁশ, আয়রণ, লিমোনয়েড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সহ নানা রকম উপকারী খাদ্যগুণ লেবুতে রয়েছে। প্রায়ই সময় ডাক্তারগণ রোগীর মধ্যে ভিটামিন সি এর ঘাটতি দেখলে বেশি বেশি লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। এতোক্ষণ লেবুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা নেওয়া হলো, এবার চলুন আমাদের মানব শরীরের জন্য লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে জানি।
সতর্কতা: আমরা কেউ যদি সম্প্রতি ক্যালসিয়াম জাতীয় কোনো রকম ঔষধ সেবন করে থাকি, তাহলে তাদের জন্য সবচেয়ে বেস্ট হলো কয়েকদিন সাইট্রিক জাতীয় ফল না খাওয়া। যেমন লেবু একটি সাইট্রিক এসিড সমৃদ্ধ ফল। তাই এ সময় লেবু খাওয়া হতে বিরত থাকতে হবে। অন্যথায়, নানা রকম দৈহিক সমস্যায় ভুগতে হবে।
লেবুর উপকারিতা
যদি আমরা লেবুর পুষ্টিগুণের অংশটা ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকি এবং বোঝে থাকি, তাহলে লেবুর উপকারিতা গুলো বোঝতে অনেক সহজ হয়ে যাবে। লেবুতে থাকে ভিন্ন ভিন্ন উপাদান আমাদের শরীরের জন্য ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে কাজ করে থাকে। লেবুর উপকারিতাগুলো হলো-
লেবু ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
বর্তমান ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি ব্যবহার করা হয় সাধারণত ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে। তবে ক্যান্সার রোগীদের জন্য লেবু ক্যামোথেরাপি থেকেও আরো বেশি কার্যকারী। এখন অনেকে চমকে যেতে পারেন, সামান্যতম একটি লেবু যা আমাদের হাতের মুষ্ঠিতে থাকে, সেটা কীভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য এতো উপকারি?
লেবুতে রয়েছে লিমোনয়েড জাতীয় উপাদান। যার প্রধান কাজ আমাদের শরীরের মধ্যে থাকা ক্যান্সারের কোষগুলোকে অপসারণ বা ধ্বংস করা। শুধু রোগ আক্রান্ত ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস নয়, পাশাপাশি দেহে একটি ক্যান্সার বিরোধী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। যাতে করে পরবর্তীতে কোনো রকম ক্যান্সার কোষ তৈরি হতে না পারে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং ধ্বংসে লেবু কতটা উপকারি।
উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে
আমাদের হার্টের জন্য উচ্চ রক্তচাপ অনেক হার্মফুল। হার্টকে অকেজো করার জন্য উচ্চ রক্তচাপ যথেষ্ট। তবে উচ্চ রক্তচাপ সাধারণত তাদের ক্ষেত্রেই ঘটে, যাদের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে না। খাদ্যে পটাশিয়ামের ঘাটতি থাকার কারণে অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ দেখা দেয়। তাই দৈনিক যদি পরিমত পটাশিয়াম অবজার্ব করতে পারি, তাহলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যাবে।
লেবুতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ পটাশিয়াম। তাই অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য বিশেষজ্ঞরা লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। লেবু খেলে পরোক্ষভাবে আমাদের দেহের পটাশিয়ামের ঘাটতি দূর হয়ে যায় এবং ফলসূতিতে মানব দেহে উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে।
কাঁটা ক্ষত সারায়
আমাদের শরীরের হাঁড়, পাতলা টিস্যু সুস্থ্য রাখতে অ্যাবসরবিক এসিড বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একই সাথে অ্যাবসরবিক এসিড আমাদের দেহের ক্ষতস্থান সারাতে/ভালো করতেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরের নানা অংশ কেঁটে যায় এবং অনেকের ক্ষেত্রে তা তাড়াতাড়ি শুকায় না। সে ক্ষেত্রে অ্যাবসরিক এসিড বেশ ভালো একটি ভূমিকা পালন করে। আমরা যদি নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ লেবু অবজার্ব করি, তাহলে আমাদের শরীরে থাকা দীর্ঘদিনের কাঁটা ক্ষতস্থান সারাতে লেবু দ্বারা বেশ উপকৃত হতে পারি।
লেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন-সি এর ভূমিকা অপরিসীম। ভিটামিন সি যে শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তা-নয়, পাশাপাশি এটি আমাদের স্নায়ু-মস্তিষ্কের ক্ষমতা দ্ধিগুণ করে। আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের বিভিন্ন রকম রোগে ভুগছি, তাদের জন্যও লেবু বেশ উপকারি। ফুসফুসের রোগ যেমন হাঁপানির উপক্রম কিছুটা কমাতে লেবু বেশ উপকারি একটি ফল। সামগ্রিকভাবে ফুসফুস ভালে রাখার ভালো একটি উপায় হলো লেবুর ভিটামিন সি।
লেবুতে থাকা ভিটামিন-সি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি প্রতিরোধ স্তর তৈরি করে থাকে। যা আমাদের শরীরে রোগ-জীবানুর আক্রমণ থেকে অনেক ক্ষেত্রেই রক্ষা করে থাকে। সুতরাং প্রতিদিন সামান্য পরিমাণও লেবু খাওয়া উচিত প্রত্যেকের।
পাকস্থলী সুস্থ্য রাখে
অনেক সময় আমাদের হজমে বা পাকস্থলীতে গোলযোগ ঘটে। এমতোবস্থায় আমাদের নানা জায়গায় নানা রকম বিশ্রী ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। পেটের সমস্যাগুলোর মধ্যে হলো ডায়রিয়া,
বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য সহ নানা রকম পেটের পীড়াজনিত সমস্যা। বেশিরভাগ মানুষ বদহজম সহ কোষ্ঠকাঠিন্যতায় ভুগে থাকে। তাদের জন্য লেবু হতে পারে একটি ভালো সলিউশন।
এর জন্য প্রতিদিন আপনাকে পরিমত লেবুর রস খেতে হবে। প্রতিদিন এক গ্লাস লেবুর রসসহ পানির সাথে পরিমত লবণ দিয়ে খেতে হবে। এটাকে আপনারা শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। এতে করে মুখে কিছুটা রুচি চলে আসবে। এরকম যন্ত্রণা দায়ক এবং বিশ্রী পরস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে এভাবে শরবত বানিয়ে খেতে হবে। আরো ভালো হয়, যদি এই শরবতের সাথে এক চা চামুচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। করে পাকস্থলির জ্বালাপোড়া অনেকটাই কমে যাবে।
ত্বকের যত্নে লেবু
আমাদের দেহের ত্বকের যত্নে এবং ত্বকের দাগ দূর করতে নানা রকম ক্রিম কিংবা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মূলক উপকারক ব্যবহার করে থাকি। দিন শেষে অনেকেই আশানুরূপ ফলাফল পায় না। সেক্ষেত্রে আমরা লেবু ব্যবহার করতে পারি।
প্রাচীন কাল হতেই লেবু পরিষ্কারক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লেবু দ্ধারা খুব ভালোভাবে সব কিছু পরিষ্ককার করা সম্ভব। একই ভাবে আমাদের ত্বকও এর বাহিরে নয়। লেবুতে থাকা প্রাকৃতিক পরিষ্কারক উপাদান যা ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও লেবুতে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। এটি আমাদের ত্বকের কালোদাগ ও পোড়া দাগ দূর করে। বেশি উপকারিতা পেতে লেবুর রসের সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। এতে করে ত্বকে সৌন্দর্য একটা ভাব চলে আসবে।
ফুসফুসের জন্য লেবু
আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ও লিপিড ফুসফুসের জন্য অনেক ক্ষতিকারক পদার্থ। এগুলো শরীর থেকে বের করে দিতে পারলে ফুসফুস ভালো থাকে। পাশপাশি ফুসফুস সহ শরীরের ক্ষতিকারক বর্জ্য পদার্থগুলো ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই ক্ষেত্রে লেবু বেশ উপকারক। লেবুতে থাকা উপাদানগুলো শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ এবং ফুসফুসের মধ্যে থাকা বর্জ্য/বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করে দেয়। এতে করে আমাদের ফুসফুস ভালো ও সুস্থ্য থাকে। এছাড়াও হাঁপানি রোগীদের জন্য ফুসফুস ভালো রাখা এবং তার যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। সেক্ষেত্রে লেবু খুবই উপকারক একটি ফল হতে পারে।
হাইপার টেনশন হ্রাস করে
ইতিমধ্যে পূর্বেই আমরা জেনেছি যে খাবারে পটাশিয়ামের মাত্রা কম থাকলে আমাদের শরীরের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ে। তেমনি একটি ক্ষতিকারক প্রভাব হলো হাইপার টেনশন হওয়া। হাইপার টেনশনে আমাদের হৃৎপিন্ডের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি সু-স্বাস্থ্যের জন্য এটি বড় একটি বাঁধা।
তাই এই ক্ষেত্রে লেবুতে থাকা পটাশিয়াম আমাদের টেনশন দূর করে। তাই নিয়মিত চেষ্টা করতে হবে পরিমত লেবু খাওয়ার জন্য। এতে করে আমাদরে হার্ট ভালো থাকবে।
লেবু মূখের দূর্গন্ধ দূর করে
মুখের দূর্গন্ধ দূর করার জন্য আমরা অনেক প্রকার ঔষধ কিংবা মলম বা ক্রিম জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু দিন শেষে উপযু্ক্ত ফলাফল পাই না। এছাড়াও আমাদের অধিকাংশের মাড়ি ফুলে যায় নানা অকারণে, দাঁত ব্যথা সহ নানা রকম দাত সম্পর্কিত সমস্যায় ভুগতে হয়। সেক্ষেত্রে লেবু অনেক উপকার করে থাকে। মুখের দূর্গন্ধ দূর করতে ভালো উপায় হলো লেবুর পানি পান করা। এটি শুধু মুখের দূর্গন্ধই দূর করে না, পাশাপাশি মাড়ির ব্যথাও দূর করে।
গর্ভবর্তী নারীদের সুস্থ্য রাখে
গর্ভবর্তী মায়েদের খাবারের তালিকাটি বেশ গুরুত্ব সহকারে তৈরি করতে হয়। কারণ এসময় গর্ভের শিশুর দেহ গঠন হয়। শিশু পর্যপ্ত এবং পরিপূর্ণভাবে হাঁড়ের গঠন , মস্তিষ্ক ও দেহ কোষ গঠনে লেবু দ্ধারা বেশ ভালোভাবে উপকৃত হওয়া যায়। এই ক্ষেত্রে লেবুর জল অনেক উপকারক। লেবুর জল গর্ভবর্তী মায়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য এবং গর্ভে থাকা শিশু উভয়ের জন্যই বেশ উপকারক। তাই চেষ্টা করতে হবে গর্ভবস্থায় প্রতিদিন এক গ্লাস করে লেবুর জল খাওয়ার তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
লেবু ওজন হ্রাসে করে
আমাদের দেহের অতিরিক্ত ওজন কমানোর উপায় হিসেবে আমরা নানা রকম কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকি। অনেক ক্ষেত্রে সফলতা পাই আবার কিছু ক্ষেত্রে পাই না। তবে লেবুর মাধ্যমে কিন্তু আমরা দেহের অতিরিক্ত ওজন হ্রাস করতে পারি। সেজন্য আমাদের নিয়মিত লেবুর ফ্রেশ জুস খেতে হবে। সেই সাথে প্রয়োজন মতো পানিও খেতে হবে। এতে করে ধীরে ধীরে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে।
বয়সের ছাপ দূর করে
আমাদের ত্বকের উপর যখন বলি রেখা পড়ে তখন সাধারণত আমাদের মধ্যে একটি বয়সের ছাপ পড়ে বা তৈরি হয়। বিভিন্ন কারণে এই বলিরেখা তৈরি হতে পারে। কারো কারো এমনিতেই ত্বকে বলি রেখা তৈরি হয়। এসব ক্ষেত্রে অর্থাৎ ত্বক থেকে বলি রেখা দূর করতে লেবু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন লেবুর রস ঔ বলি রেখাগুলোতে এক-টানা ১৫ মিনিট করে ধরে রাখতে হবে। এবং যখনই ১৫ মিনিট হবে তখন ভালো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কয়েকদিন করলে ত্বক থেকে বলি রেখা দূরের মাধ্যমে বয়সের ছাপ দূর করবে।
উপরের উপকারিতাগুলো ছাড়াও আরো অনেক রকম লেবুর উপকারিতা রয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্য ১২টি লেবুর উপকারিতার দিক এখানে তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি নিয়মিত লেবু ব্যবহার এবং খাওয়ার মাধমে এখানে উল্লেখিত সমস্ত উপকারিতাগুলো উপভোগ করতে পারবেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পর্যপ্ত ভাবে লেবু ব্যবহার করতে হবে। রোগীদের ক্ষেত্রে লেবু ব্যবহার করে উপকারিতা পওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
এতোক্ষণ জানলাম লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে। লেবুর উপকারিতার পাশাপাশি কিন্তু লেবুর বেশ কিছু অপকারিতাও রয়েছে। চলুন সেগুলো জানা যাক।
লেবুর অপকারিতা
লেবুর অপকারিতার চেয়ে উপকারিতাই বেশি। তারপরও যেহেতু লেবু আমরা প্রতিনিয়ত খাওয়ার রুটিনে থাকে, সেহেতু এর অপকারিতা বা কিছু অসুবিধার দিক জেনে নেওয়া আমাদের জন্য ভালো হবে। সার্বিকভাবে, লেবুরও কিছু অসুবিধা রয়েছে। সেগুলো হলো-
বুক জ্বালা বাড়িয়ে দিতে পারে
যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে লেবুর বেড ইফেক্ট পড়ার সম্ভাবণা রয়েছে। যেমন কারো কারো বুকের জ্বালা বাড়িয়ে দিতে পারে।
দাঁতের ক্ষয় হওয়া
মোটামোটি আমরা সবাই জানি যে লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড। এবং কিছু ক্ষেত্রে সাইট্রিক এসিড আমাদের দাঁতের ক্ষয়ের জন্য দায়ী। তাই এই ক্ষতিকর দিকটি নজরে রেখে নিয়মিত লেবু খাওয়ার অভ্যাস গড়তে হবে। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে আবার কিছু ভিন্নতা রয়েছে, যারা প্রতিদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে থাকে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করে
কারো কারো ক্ষেত্রে অতিরিক্ত লেবুর রসের পানি পান করার ফলে আমাদের পাকস্থলিতে এসিডিটির পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে। ফলে কারো কারো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ফেস করতে হয়। একই সাথে বমি বমি ভাবও হতে পারে।
মাইগ্রেনের সমস্যা তৈরি করে
যাদের ক্ষেত্রে পূর্ব থেকেই মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তারা লেবু-কে ইগনোর করা উচিত। কেননা মাইগ্রেন সমস্যায় ভুগা রোগীদের জন্য লেবু বেশ অপকারক একটি ফল। মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
দূর্বলতা ভাবে তৈরি করে
এই জিনিসটা সবার ক্ষেত্রে ঘটে না। আমরা যারা খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনায়ন করি অর্থাৎ ডায়াট কন্ট্রোল করে থাকি, তাদের জন্য কিছু ক্ষেত্রে লেবু অপকারকে। ওজন কমানোর জন্য সাধারণত আমরা এই পদক্ষেপগুলো নিয়ে থাকি। এ সময় যদি আমরা লেবু খাই ,তাহলে শরীরের দূর্বলতা ভাব আসতে পারে। কেননা তখন স্বাভাবিকভাবে শরীরে কার্বোহাইড্রেট সহ অন্য উপাদানগুলোর পরিমাণ খুব কম থাকে।
পরিপাকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়
এটা শুধু লেবু নয়, যেকোনো অ্যাডিস সমৃদ্ধ ফল বা কোনো কিছু খেলেই এই সমস্যায় পড়তে হয়। লেবু খেলে আমাদের পাকস্থলিতে অ্যাসিড তৈরি হয়, যা পাকস্থলিতে খাদ্য হজমে কিছুটা বিঘ্নতা ঘটায়।
এছাড়াও আরো অনেকগুলো লেবুর অপকারিতা রয়েছে। যেমন- দীর্ঘক্ষণ যদি আমরা লেবু মুখে নিয়ে থাকি, তাহলে তা মুখের মধ্যে থাকা পাতলা টিস্যুর ক্ষতিসাধন করে থাকে। এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক রকম লেবুর ক্ষতি বা অপকারিতা।
তবে আরো বেশি যদি সতর্ক থাকতে চান বা নিরাপদে থাকতে চান, তাহলে অবশ্যই অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে লেবু খাবেন। এখানে দেওয়া সমস্ত তথ্যই হলো অন্য সাইটের তথ্যের উপর ভিত্তি করে।সুতরাং আরো বেশি নিরাপদ থাকতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।