হজ্জ একটি মহান ইসলামিক উত্সব যা মুসলিমদের সমস্ত দেশে প্রতি বছরে আল্লাহর ঘর কাবা শরীফে হজ করতে হয়। হজ করতে যাওয়ার জন্য হজ্জ প্যাকেজ সম্পন্ন করা দরকার হয়।হজ্জ প্যাকেজ একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ যা হজজদের প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস সরবরাহ করে থাকে। এটি যথাযথ খাদ্য, পরিবহন, বিশেষজ্ঞ হজ গাইড ও পরিচর্যা সম্পন্ন হয়। হজ্জ প্যাকেজ বিভিন্ন পরিমান ও মূল্যে উপলব্ধ থাকে এবং এটি প্রতি দেশের হজ্জ কর্তব্য নিয়ম অনুযায়ী কাস্টমাইজ করা হয়।
হজ্জ প্যাকেজ হল হজ্জ যাত্রাকে সহজ ও সুবিধাজনক করার জন্য প্রদানকৃত একটি পরিকল্পনা বা সেট যা বিভিন্ন হজ্জ সেবা সরবরাহ করে। এটি হজ্জ যাত্রীদের জন্য সমস্ত আবশ্যক সেবা ও উপকরণগুলি সরবরাহ করে, যাতে হজ্জ যাত্রীরা সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজে উপভোগ করতে পারেন।
হজ্জ প্যাকেজের অংশ হতে পারে স্থায়ী বিশ্রাম ব্যবস্থার জন্য হোটেল রুম, ট্রান্সপোর্টেশন, খাদ্য এবং পানীয় সরবরাহ, হজ্জ স্থানে গাইড সেবা, হজ্জ কাপড় এবং অন্যান্য জিনিসপত্রের সরবরাহ ইত্যাদি।
হজ্জ প্যাকেজের দাম বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে, যেমন যাত্রীদের সংখ্যা, পরিবহনের ধরণ, হোটেল এবং খাদ্যের মান ইত্যাদি। হজ্জ প্যাকেজ কিনতে আগে সম্পূর্ণ।
চাঁদ দেখা জন্য আগামী ২৭ জুন ২০২৩ তারিখে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গত ০৯/০১/২০২৩ তারিখে রাজকীয় সৌদি সরকার ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তি ২০২৩ স্বাক্ষরিত হয়েছে। উক্ত হজ চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে হজযাত্রীর কোটা ১,২৭,৩৪৫ জন নির্ধারিত হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫,০০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১,১২,১৯৮ জন পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন বলে আশা করা যায়। এ বছর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে গমনকারী ১০০% হজযাত্রীর প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন “মক্কা রোড চুক্তি” অনুযায়ী উক্ত বিমানবন্দরেই অনুষ্ঠিত হবে।
২। পবিত্র হজ 2023 উপলক্ষে প্যাকেজ প্রস্তুত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আজ 01.02.2023 খ্রি. তারিখ দুপুর ১২.০০ টায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি এর সভাপতিত্বে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় হজ প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন খাতের ব্যয় পর্যালোচনা করা হয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উক্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য ৬,৮৩,০১৮.০০ (ছয় লক্ষ তিরাশি হাজার আঠার) টাকা নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, মিনার তাঁবুর সি ক্যাটাগরির মূল্য অনুসারে সরকারি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে।
৩। মিনার তাঁবুর অবস্থান সংক্রান্ত ক্যাটাগরি গ্রহণের ভিত্তিতে বেসরকারি এজেন্সিসমূহ সরকারি প্যাকেজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্ব-স্ব হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে। তাঁবুর অবস্থান ব্যতীত অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজের ন্যায় নিশ্চিত করতে হবে।
হজ করতে কত টাকা লাগবে ২০২৩| হজ করতে কত টাকা লাগে
হজ করতে খরচ বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে আমি বর্তমানে আপডেট হওয়া তথ্য দিতে পারি।
হজ যাত্রা করতে চাইলে আপনাকে হজ প্যাকেজ কেনার আগে একটি পাসপোর্ট এবং একটি হজ ভিসা লাগবে। এছাড়াও, বিভিন্ন হজ প্যাকেজ সরবরাহকারী সংস্থার মধ্যে দামের পার্থক্য থাকতে পারে। সাধারণত বিভিন্ন সেবার জন্য হজ প্যাকেজ দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আপনি আপনার স্থানীয় হজ প্যাকেজ সরবরাহকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
এছাড়াও, একজন হজ যাত্রীর জন্য আরও পরিবর্তনশীল বিষয় হল পরিবহনের জন্য খরচ। সেখানে প্রযোজ্য ট্রান্সপোর্টেশন এবং হিসাবের বিভিন্ন মোডেল হতে পারে, যা খরচ পরিবর্তন করে দিতে পারে।
হজ প্যাকেজের দাম বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে পরিবর্তন করতে পারে। নিম্নলিখিত কিছু উদাহরণ হলো:
যাত্রীর মুল ঠিকানা: হজ যাত্রা করতে চাইলে আপনার বাড়ী থেকে আরব দেশে ভ্রমণ করা প্রয়োজন হবে। সরবরাহকারী সংস্থা যেমন হজ এজেন্সি আছে যা বিভিন্ন মূল্যে হজ প্যাকেজ সরবরাহ করে তাদের কাছ থেকে যে সমস্ত পরিবহন সংক্রান্ত পরিচালনা করা হয়। এই পরিবহন সম্পর্কিত বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে দাম পরিবর্তিত হতে পারে।
পর্যটক স্পটগুলি: হজ যাত্রা সম্পন্ন হলে হজ পার্কটি পর্যটকদের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সমস্ত পর্যটন স্পটগুলি হজ মাসে অনেক বেশি ট্র্যাফিকের সামনে হতে পারে। এই কারণে হজ মাসে সাধারণত স্থানীয় হোটেলের দাম পরিবর্তিত হতে পারে।
- কোরবানি ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য প্যাকেজ মূল্য = ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
- সর্বনিম্ন এই প্যাকেজ মূল্যে অধিক খরচের মধ্যে রয়েছে বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। মক্কা ও মদীনায় বাড়ি ভাড়া বাবদ ২ লাখ ৪ হাজার ৪৪৫ টাকা। সার্ভিস চার্জ ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৩০ টাকা।
- আর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ গমনইচ্ছুক প্রত্যেহ যাত্রীর জন্য প্যাকেজ – ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে কত জন হজ করার সুযোগ পাচ্ছেন?
চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫,০০০/- হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। হজ পালন করা সবার স্বপ্ন কিন্তু সবার সাধ্য থাকে না।
হজের টাকা কবে জমা দিতে হবে ২০২৩
হজের টাকা প্রত্যেক বার নির্দিষ্ট সময় দিযে দেয় টিক এবার ও সময় দিয়েছে। সরকারি ব্যবস্থায় প্রত্যেক হজযাত্রীকে হজ প্যাকেজের সব টাকা ১৫ মার্চের ২০২৩ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির একাউন্টে বা নগদ দিলে পাকা মানি রিসিট নিয়ে পরিশোধের আহ্বান করা হয়েছে। আর এই তারিখের পরে কেউ আর টাকা জমা দিলেও হজ পালন করতে পারবেন না।
২০২৩ সালে হজের করার সঠিক নিয়ম কানুন
হজ্জ ইসলামের পাঁচটি সুন্নত আমলের মধ্যে একটি এবং সে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হজ্জের নিয়ম নিম্নলিখিত হলো:
১. হজ্জ শুরু করার আগে ইহরাম নিয়মের পালন করতে হবে। ইহরাম হল একটি পবিত্র পোশাক যা পরে ব্যবহার করা যাবে না। পোশাকের উপর একটি অংশ বিন্দু নামে পর্যায়টি স্পর্শ করা যাবে না এবং নিশ্চিত হতে হবে যে আপনি ইহরামের নিয়মাবলী পালন করছেন।
২. হজ্জের সময় আপনাকে বিভিন্ন পূর্বে নির্ধারিত স্থান থেকে থেকে কাবা প্রার্থনা করতে হবে। কাবা হল খানে কাবা শরীফ বা কাবা মসজিদ যা মক্কায় অবস্থিত।
৩. হজ্জ সম্পন্ন করার জন্য পাঁচটি মুস্তহাব আমল অবশ্যই করতে হবে। এগুলি হল: তাওয়াফ, সাঈ, আরফাত, মুযাব্বারক এবং হালাক বা করবানী।
৪. হজ্জের সময় বিভিন্ন আদব ও নেক আচরণ পালন
হজ্জ প্যাকেজ ২০২৩ বাংলাদেশ



বন্ধুরা যদি পিকচার বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে নিচে পিডিএফ ফাইল দেওয়া হলো ডাউনলোড করে নিন।
এখানে hajj packages 2023 bangladesh | হজ্জ প্যাকেজ ২০২৩ এই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি hajj packages 2023 bangladesh | হজ্জ প্যাকেজ ২০২৩ এই বিষয়ে আগ্রহ থাকে তাহলে নিয়মিত আমাদের সাইটে www.bdtoppost.com ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।