ইয়া আল্লাহু নাম বাংলা অর্থ সহ ফজিলত
(আল্লাহ) শব্দটি এই মহা বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, ত্রাণকর্তা, মুক্তিদাতা মহান আল্লাহর নির্দিষ্ট ইসমে জাত। এই পবিত্র নামটি বচন ও লিঙ্গভেদ হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত। বিশেষ কোন ধাতু হইতে এই নামটি উৎপন্ন হয়নি এবং দুনিয়ার প্রচলিত কোন ভাষাতে এই নামের অনুবাদ হয় না। কেননা আল্লাহ্ বলিতে একমাত্র দয়াময় আল্লাহ্ তা’আলাকেই বুঝায়। এই কারণেই এটি ইসমে জাত বলে পরিচিত।
১। পবিত্র হাদীস শরীফে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেছেন-“সকল প্রকার যিকির হইতে আল্লাহ নামের যিকিরই সর্বোত্তম।” অপর এক হাদীসে উল্লেখ আছে, যদি কোন ব্যক্তি রাত্রি বেলায় মহান আল্লাহর নামসমূহের যিকির করে তাহলে তাহার অন্তরে নূর পয়দা হইবে এবং সেব্যক্তির মৃত্যুর পর তাহার কবরে নূর চমকাতে থাকবে।
২। হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ) স্বীয় “আমলের উপকারিতা হইতে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে ইয়া আল্লাহু’ এই পবিত্র ইসমে জাতটি ৪,৩৫৭ বার করিয়া চল্লিশ দিন পর্যন্ত পাঠ করিবে তাহলে করুণাময় সৃষ্টিকর্তা ও দয়ালু আল্লাহ্ তা’আলা তাহার মনের সব বাসনা পূর্ণ করে থাকেন। কিন্তু শর্ত হল যে, ‘আমলের দ্বারা ফল লাভ হলে সদা সর্বদা ফকির মিসকিনদেরকে দান-ছদকাহ্ করিতে হয় নতুবা এ আমলের ফজীলত ও মর্যাদা দীর্ঘস্থায়ী থাকে না।
৩। একটি পাক-পবিত্র পেয়ালায় এ পবিত্র ইসমেযাত আল্লাহ্ শব্দটি ৬৭ বার লিখে সে পেয়ালা ধোয়া পানিটি যেকোন পীড়িত ব্যক্তিকে খাওয়ালে ইনশাআল্লাহ্ তাহার পীড়া আরোগ্য হয়।
৪। চিকিৎসকগণ যে রোগীর চিকিৎসায় নিরাশ হয়ে পড়ে সে সব রোগীদের জন্য শেষ ঔষধ হইল প্রতিদিন অসংখ্যবার এ পবিত্র ইসমেযাত আল্লাহ্ নামের যিকির করা।
৫। শুক্রবার (জুমু’আর দিন জুমু’আর নামাযের পূর্বে নির্জন স্থানে বসে ২১১ বার এই পবিত্র ইসমে যাও আল্লাহ্ শব্দের যিকির করিলে মনের সকল বাসনাসমূহ ইনশাআল্লাহ্ পূর্ণ হয় ।
৬। নিয়মিতভাবে দৈনিক ১১১ এ পবিত্র ইসমেযাত আল্লাহ্ শব্দের যিকির করিলে ঈমান মজবুত হয়।
৭। গর্ভবতী নারী প্রসব ব্যথায় কষ্ট পেলে একটু আখের গুড়ের মধ্যে এ পবিত্র গুণবাচক ইসমে ১১১ বার পাঠ করে ফুঁ দিয়ে সে গর্ভবতীকে খাওয়ালে ইনশাআল্লাহ সে গভীনির প্রসব ব্যথা দূর হয়ে অতি সহজে সন্তান প্রসব হইবে।
৮। যাদের স্মরণশক্তি কম এমন শিক্ষার্থীকে গরম রুটিতে শাহাদাত আঙ্গুলি দ্বারা এ পবিত্র নামটি লিখে ৭, ১১, ২১ দিন যাবৎ খাওয়ালে ইনশাআল্লাহ কল্পনাতীত ভাবে তাদের স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পাবে।