কাশফুল কবিতা – কাশফুল নিয়ে প্রেমের কবিতা
কাশফুল কবিতা কিংবা কাশফুলের কবিতা যাই বলি না কেন, বেশ চমৎকার একটি কবিতা এটি। মূলত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কাশফুল কবিতাটি। সচারচর ইন্টারনেট প্রচুর পরিমাণে সার্চ হয় কাশফুলের কবিতা লিখে। আর তারই প্রেক্ষিতে আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো কাশফুল নামক চমৎকার আকর্ষণীয় কবিতাটি। তাহলে চলুন, আলোচনা বিলম্ব না করে শুরু করি কাশফুল কবিতাটি। ( আমাদের গ্রাম কবিতাটি পড়ুন এবং নোটন নোটন পায়রাগুলো কবিতাটি পড়ুন )
কাশফুল কবিতা
ভেবেছিলাম প্রথম যেদিন ফুটবে তোমায় দেখব,
তোমার পুষ্প বনের গাঁথা মনের মত লেখব।
তখন কালো কাজল মেঘ তো ব্যস্ত ছিল ছুটতে,
ভেবেছিলাম আরো ক’দিন যাবে তোমার ফুটতে।
সবে তো এই বর্ষা গেল শরত এলো মাত্র,
এরই মধ্যে শুভ্র কাশে ভরলো তোমার গাত্র।
ক্ষেতের আলে নদীর কূলে পুকুরের ওই পাড়টায়,
হঠাৎ দেখি কাশ ফুটেছে বাঁশ বনের ওই ধারটায়।
আকাশ থাকে মুখ নামিয়ে মাটির দিকে নুয়ে,
দেখি ভোরের বাতাসে কাশ দুলছে মাটি ছুঁয়ে।
কিন্তু কখন ফুটেছে তা কেউ পারে না বলতে,
সবাই শুধু থমকে দাঁড়ায় গাঁয়ের পথে চলতে।
উচ্চ দোলা পাখির মত কাশ বনে এক কন্যে,
তুলছে কাশের ময়ূর চূড়া কালো খোঁপার জন্যে।
শরত রানী যেন কাশের বোরখা খানি খুলে,
কাশ বনের ওই আড়াল থেকে নাচছে দুলে দুলে।
প্রথম কবে ফুটেছে কাশ সেই শুধুরা জানে,
তাইতো সেটা সবার আগে খোঁপায় বেঁধে আনে।
ইচ্ছে করে ডেকে বলি, “ওগো কাশের মেয়ে―
আজকে আমার চোখ জুড়ালো তোমার দেখা পেয়ে
তোমার হাতে বন্দী আমার ভালোবাসার কাশ
তাইতো আমি এই শরতে তোমার কৃতদাস”
ভালোবাসা কাব্য শুনে কাশ ঝরেছে যেই
দেখি আমার শরত রানী কাশবনে আর নেই।
উপরের লিখাটি হলো মূলত কাশফুল কবিতা। কাশফুলের কাব্য – নির্মলেন্দু গুণ। যদিও ক্রমান্বয়ে উক্ত কবিতাটির পাঠকগণ ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। তবে সার্বিকভাবে এখনো এই কবিতার ভক্ত সংখ্যা মোটেও কম নয়। ( আম পাতা জোড়া জোড়া কবিতাটি পড়ুন )
কাশফুল কবিতা নিয়ে শেষ কথা
কাশফুলের কবিতা টি মূলত কাশফুলের কাব্যের অন্তর্গত এবং কবি নির্মলেন্দু গুণ এর লেখা। একটা সময় যখন বাঙ্গালির বিরাট একটা অংশ কবিতার দিকে ঝুঁকেছিল, তখন থেকেই কাঁশফুল কবিতা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। আর আজকেও প্রায় অনেকের মধ্যে উক্ত কবিতাটি জনপ্রিয় ও স্মরণীয়। যদিও সংখ্যার দিক দিয়ে প্রায় অনেক কম। তবে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে, গুগল এর সহায়তা নিয়ে বোঝা যায় যে, এখনো অনেকে প্রেমের কবিতা ভালোবাসার কবিতা অর্থাৎ কাশফুল কবিতাটি পড়তে চায় কিংবা অনুভব করতে চায়। আর তারই প্রেক্ষিতে আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটি। আশা করি যারা যারা ইন্টারনেটে কাশফুলের কবিতা লিখে সার্চ দিয়ে থাকেন, তাঁরা বিশেষ করে বেশ উপকৃত হতে পারবে উক্ত আর্টিকেলটি দ্ধারা।