
ভালোবাসি ভালোবাসি কবিতা হলো সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর লিখা। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এখনো এই কবিতাটি বেশ ভালো পারফর্ম করছে। তবে ধীরে ধীরে বর্তমানের জেনারেশন বিরহ কিংবা এসব টাইপের কবিতা থেকে যদিও ক্রমশ বেঁকে যাচ্ছে, কিন্তু অনেক তরুণ সহ বৃদ্ধ এখনো অবধি ভালোবাসি ভালোবাসি কবিতাটি শুনছেন এবং পড়ছেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় আজকের আর্টিকেলে আমরা এই কবিতাটির সম্পূর্ণ অংশ তুলে ধরবো। আর যারা কবিতাটি বেশি পছন্দ করেন,তারা ইচ্ছা অনুযায়ী কপি করে একটি ফাইলে রেখে দিতে পারেন কিংবা এই সাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আলোচনা বিলম্ব না করে, চলুন তাহলে শুরু করি ভালোবাসি ভালোবাসি কবিতাটি। ( কাশফুল ও আমাদের গ্রাম কবিতাটি পড়ুন )
ভালোবাসি ভালোবাসি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের রোমান্টিক কবিতা
ভালোবাসার আবেগের কবিতা, ভালোবাসি প্রিয় কবিতা, ভালোবাসি ভালোবাসি লিরিক্স, ভালোবাসি ভালোবাসি কবিতা মুনমুন



ধরো কাল তোমার পরীক্ষা, রাত জেগে পড়ার
টেবিলে বসে আছ,
ঘুম আসছে না তোমার
হঠাৎ করে ভয়ার্ত কণ্ঠে উঠে
আমি বললাম— ভালবাস?
তুমি কি রাগ করবে?
নাকি উঠে এসে জড়িয়ে ধরে বলবে,
ভালবাসি, ভালবাসি
ধরো ক্লান্ত তুমি, অফিস থেকে সবে ফিরেছ,
ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত পীড়িত…
খাওয়ার টেবিলে কিছুই তৈরি নেই,
রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে ঘর্মাক্ত আমি তোমার
হাত ধরে যদি বলি— ভালবাস?
তুমি কি বিরক্ত হবে?
নাকি আমার হাতে আরেকটু চাপ দিয়ে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি
ধরো দুজনে শুয়ে আছি পাশাপাশি,
সবে মাত্র ঘুমিয়েছ তুমি
দুঃস্বপ্ন দেখে আমি জেগে উঠলাম
শশব্যস্ত হয়ে তোমাকে ডাক দিয়ে যদি বলি— ভালবাস?
তুমি কি পাশ ফিরে শুয়ে থাকবে?
নাকি হেসে উঠে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি
ধরো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি দুজনে,
মাথার উপর তপ্ত রোদ,
বাহন পাওয়া যাচ্ছে না
এমন সময় হঠাৎ দাঁড়িয়ে পথ রোধ করে যদি বলি— ভালবাস?
তুমি কি হাত সরিয়ে দেবে?
নাকি রাস্তার সবার দিকে তাকিয়ে
কাঁধে হাত দিয়ে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি
ধরো শেভ করছ তুমি,গাল কেটে রক্ত পড়ছে,
এমন সময় তোমার এক ফোঁটা রক্ত হাতে নিয়ে
যদি বলি— ভালবাস?
তুমি কি বকা দেবে?
নাকি জড়িয়ে তোমার গালের রক্ত আমার গালে লাগিয়ে দিয়ে
খুশিয়াল গলায় বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি
ধরো খুব অসুস্থ তুমি
জ্বরে কপাল পুড়েযায়, মুখে নেই রুচি, নেই কথা বলার অনুভুতি,
এমন সময় মাথায় পানি দিতে দিতে
তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে যদি বলি— ভালবাস?
তুমি কি চুপ করে থাকবে?
নাকি তোমার গরম শ্বাস আমার শ্বাসে বইয়ে দিয়ে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি
ধরো যুদ্ধের দামামা বাজছে ঘরে ঘরে,
প্রচন্ড যুদ্ধে তুমিও অঃশীদার,
শত্রুবাহিনী ঘিরে ফেলেছে ঘর
এমন সময় পাশে বসে পাগলিনী আমি তোমায়
জিজ্ঞেস করলাম— ভালবাস?
ক্রুদ্ধস্বরে তুমি কি বলবে যাও?
নাকি চিন্তিত আমায় আশ্বাস দেবে
বলবে ভালবাসি, ভালবাসি
ধরো দূরে কোথাও যাচ্ছ তুমি দেরি হয়ে যাচ্ছে,
বেরুতে যাবে, হঠাৎ বাধা দিয়ে বললাম— ভালবাস?
কটাক্ষ করবে? নাকি সুটকেস ফেলে
চুলে হাত বুলাতে বুলাতে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি
ধরো প্রচণ্ড ঝড়, উড়ে গেছে ঘরবাড়ি, আশ্রয় নেই
বিধাতার দান এই পৃথিবীতে,
বাস করছি দুজনে চিন্তিত তুমি
এমন সময় তোমার বুকে মাথা রেখে যদি বলি— ভালবাস?
তুমি কি সরিয়ে দেবে?
নাকি আমার মাথায় হাত রেখে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি
ধরো সব ছেড়ে চলে গেছ কত দুরে,
আড়াই হাত মাটির নিচে শুয়ে আছ
হতভম্ব আমি যদি চিৎকার করে বলি— ভালবাস?
চুপ করে থাকবে?
নাকি সেখান থেকেই আমাকে বলবে
ভালবাসি, ভালবাসি
যেখানেই যাও,যেভাবেই থাক, না থাকলেও
দূর থেকে ধ্বনি তুলো
ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি…
দূর থেকে শুনব তোমার কণ্ঠস্বর,
বুঝব তুমি আছ,তুমি আছ
ভালবাসি, ভালবাসি
মূলত উপরের লিখাটিই হলো ভালোবাসি ভালোবাসি কবিতা। এখানে সম্পূর্ণ কবিতাটিই তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি যারা উক্ত কবিতাটি পড়তে সার্চ করেছেন, আশা করি আজকের আর্টিকেলটি দ্ধারা আপনারা বেশ ভালোভাবে উপকৃত হতে পারবেন।
ভালোবাসি ভালোবাসি কবিতা নিয়ে শেষ কথা



গুলল বা অন্য সকল সার্চ ইন্জিনে প্রচুর পরিমাণে সার্চ হয় ভালোবাসি ভালোবসি কবিতা নিয়ে। কিন্তু শোকৃত অধিকাংশ রেজাল্টই অপ্রাসঙ্গিক। যে বিধায় আজকের আমাদের এই আর্টিকেলের মূল প্রাধান্য বিষয় বস্তুই হলো উক্ত কবিতা বা ছড়াটি। আশা করি যারা যারা এই কবিতা পড়তে ইন্টারনেটে সার্চ করেছেন, তারা বেশ ভালোভাবেই উপকৃত হতে পারবেন। ( নোটন নোটন কবিতা ও আম পাতা জোড়া জোড়া কবিতাটি পড়ুন )