Education

১৭ ই মার্চের কবিতা [ ১৫ টি PDF ]| বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে ছোট কবিতা

[ad_1]

 আসছালামু আলাইকুম সম্মানিত পাঠকবৃন্দ সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। প্রিয় পাঠক ১৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজকে আমরা কিছু কবিতা শেয়ার করতেছি। কবিতা গুলো আপনি ভিবিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্টানে আবৃত্তি করতে পারবেন। আসা করি তোমাদের উপকারে আসবে। 

       

১৭ ই মার্চের কবিতা

১৭ ই মার্চের কবিতা [ ১৫ টি PDF ]|  বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে ছোট কবিতা | বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে কবিতা

ছাড়পত্র – সুকান্ত ভট্টাচার্য by সুকান্ত ভট্টাচার্য

যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে
তার মুখে খবর পেলুমঃ
সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,
নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার
জন্মমাত্র সুতীব্র চিৎকারে।
খর্বদেহ নিঃসহায়,
তবু তার মুষ্টিবদ্ধ হাত উত্তোলিত,
উদ্ভাসিত কী এক দুর্বোধ্য প্রতিজ্ঞায়।
সে ভাষা বোঝে না কেউ,
কেউ হাসে, কেউ করে মৃদু তিরস্কার।
আমি কিন্তু মনে মনে বুঝেছি সে ভাষা।
পেয়েছি নতুন চিঠি আসন্ন যুগের
পরিচয়-পত্র পড়ি ভূমিষ্ঠ শিশুর
অস্পষ্ট কুয়াশাভরা চোখে।
এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান;
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে
চলে যেতে হবে আমাদের।
চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ
প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
অবশেষে সব কাজ সেরে
আমার দেহের রক্তে নতুন শিশুকে
করে যাব আশীর্বাদ,
তারপর হব ইতিহাস

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন – আবু জাফর বিঃ

জাতির পিতা অবিসংবাদিত নেতার শুভ জন্মদিন,
বাংলার মানুষের হৃদয় থেকে মুছবেনা কোনদিন।
জাতী আজ স্মরণ করিছে তোমায় বিনম্র শ্রদ্ধায়,
তুমি থাকবে চিরঅমর হয়ে অনিঃশেষ ভালবাসায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন,
শিমুল পলাশ হাজারো ফুলে বসন্ত এত রঙিন।
পত্র-পল্লব পুষ্প বৃক্ষরাজি শুভক্ষণের তীব্র প্রতিক্ষায়,
ফুলের গন্ধে সুরের ছন্দে রঙে বর্ণে প্রকৃতি সাজায়।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হে ক্ষণজন্মা নেতা,
তোমার জন্যই পেয়েছি মোরা প্রাণের স্বাধীনতা।
তুমি না হলে বাংলাদেশ হতোনা হে চিরঞ্জীব নেতা,
তাই বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সুতোই গাঁথা।

পাকিস্থানের শাষক গোষ্টির ২৪বছরের দুঃশাসন,
দিয়েছিলে অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ভাষন।
পরাধীনতার শিকল ভেঙে লিখে গেছো ইতিহাস,
আর যেন তাকে বিকৃত করার পায়না দুঃসাহস।

সাহসে, স্নেহে, ভালোবাসায়, মমতায়, দুর্বলতায়,
আপামোর বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রতিবাদী সত্ত্বায়।
তুমি থাকবে বাঙালির হৃদয়ে, অস্তিত্বে বহমান,
শ্রদ্ধাভরে স্মরিব তোমায় শেখ মুজিবুর রহমান।।
………………

বাংলার অমর কবি বঙ্গবন্ধু

উৎসর্গ: বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

হাকীম আল-মীযান

হে বঙ্গবন্ধু! শুভ হোক, আজ তোমার শুভ জন্মদিন,
তোমার চেতনায় গর্জে উঠুক দেশ ও জাতি এই দিন,
তোমাকে জানাই; অন্তস্থল থেকে ভালোবাসার সালাম,
তোমার কাছে হয়ে আছি; জানা-অজানা কত শত ঋণ।

যত দিন বাংলাদেশ আছে; আছে মানুষ এই বাংলায়,
ততদিন রাখবো মনে তোমায়, লাল-সবুজের পতাকায়,
ধরে রাখব জীবন দিয়ে তোমার গড়া সোনার বাংলাকে
শুনাব; তোমার ত্যাগের ইতিকথা বিশ্ববাসীকে প্রতিদিন।

যেদিন আমি প্রথম গিয়েছিলাম; কলেজ জীবনে
আরো তিন বন্ধুর সাথে ঢাকাস্থ বনানী গোরস্থানে,
তোমার পরিবারের সদস্যদের কবরের সারি দেখে
হতবাক হয়েছিলাম বলে মনটা হয়েছিল সেদিন মলিন।

এ কেমন করে সম্ভব হল? এ কেমন অকৃতজ্ঞতা ?
সইতে পারি না ভাবলে-সিরাজুদ্দৌলার মত ভাগ্য কথা,
যাঁর ঐতিহাসিক বাগ্মিতায় কবিতার মত ফুঁটে উঠে ছিল
আমাদের প্রাণের দাবি; রেসকোর্স ময়দানে- একদিন।

আমাদের জন্যে তুমি; শত্রুদের কারাকে করেছ বরণ
আমাদের জন্যে তুমি শেষাবধি দিয়েছ সপরিবারে জীবন,
প্রমান করেছো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তুমি-
শহীদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সত্যিই তুলনাহীন।

তোমার কবিতায় মুগ্ধ হয়েছিলাম; বাংলার স্বাধীনকামী জনতা
ঝাপিয়ে পড়েছিলাম; স্বাধীনতার জন্যে গড়েছিলাম- একতা,
যার কাছে যা ছিলো; তাই নিয়ে এগিয়েছিলাম- রণাঙ্গনে,
যুদ্ধের ন’মাস তোমার রূপরেখায় চলেছিলাম নিত্যদিন।

জানিনা! কি হতভাগা আমরা? কি হতভাগা দেশ ও জাতি?
বড় আফসোস হয়; দেশের জনকের সাথে করেছে- মীর জাফরী!
পলাশীতে হারিয়েছিলাম একদিন; সমূলে আমাদের স্বাধীনতা
তোমার যোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া হতাম বিলীন- দেশ হত না স্বাধীন।।

          শিরোনাম —” স্বরনীয় বরণীয় “

           কলমে -জেবুন্নেছা  জেবু
*******************************

   ১৯২০ সালের ১৭ ই  মার্চ  ফরিদপুরে
   গোপালগঞ্জ   টুঙ্গিপাড়ার  এক গ্রামে, 
   জন্মেছিলো  বজ্রকণ্ঠি অসাধারন এক ছেলে
   দল মতের  বহুউর্ধ্বে  নিরপেক্ষ  অনন্য তিনি
   সাহসী  সন্তান হাজার বছরের শ্রেষ্ট  বাঙালী ।
  
   শেখ লৎফুর  রহমান ছিলেন তাহার পিতা
   মোসাম্মৎ  সায়রা বেগম তাহার গর্বিত মাতা
   আদর  করে  তাহারা  ডাকিতেন  “খোকা”
   তাহার স্ত্রী  মহীয়সী এক নারী ফজিলাতুন্নেসা। 

   তাহার  জন্মদিনে জানাই শ্রদ্ধা ও সম্মান
   তিনিই  জাতির নেতা শেখ মুজিবর রহমান ,
    তাহার একটি ডাকে জেগেছিল বীর  বাঙালী
   তাহারই  কন্যা শেখ হাসিনা যোগ্য উত্তরসুরী।
  
   বাঙালি  পেয়েছিলো   এক মহান  নেতা
   তাহারই  ডাকে  নেতৃত্বে  মিলেছে   স্বাধীনতা ,
   দেশটা  ছিলো  বঙ্গবন্ধুর  ভালবাসার  প্রাণ
    মহান নেতার জন্ম দিনে জানাই  কোটি সম্মান। 

   অতি সম্মানে পালিত হয়  বঙ্গবন্ধুর  জন্মদিন 
   সর্বশ্রেণীর বাঙালির  ভালবাসায় সিক্ত এ দিন,
   তাহার  আত্মার  মাগফিরাতের  কামনায়
   দোয়া মাহফিল হয়  সর্বত্রই সোনার বাংলায়, 
   তাহার  স্মৃতি  অমর  গাঁথা রইবে যুগে যুগে
   তিনি বঙ্গবন্ধু স্বরনীয় বরনীয়  জাতির  অন্তরে ॥

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন – মোঃ জাহিদ হাসান

হে বঙ্গবন্ধু তোমার শুভ জন্মদিন,
কেমনে শুধি তব ভালবাসার ঋন।
উনিশশত বিশে জন্ম টুঙ্গীপাড়ায়,
বঙ্গের স্বাধীকার রক্ষায় জেলে যায়।
ভাষা আন্দোলনের অগ্রপথের নেতা,
কত শত প্রতিরোধ হেথা আর হোথা।
জীবনের মোহ ছাড়ি বিদ্রোহের রণ,
সাত মার্চ কন্ঠে তোমার শ্রেষ্ট ভাষন।

জন্মে তোমার পেলাম বাংলা স্বাধীন,
মোরা নই আজ হেথা কারোর অধীন।
কিছু কুলাঙ্গার নিলো তোমার জীবন,
শোক মুহ্যমান মোর হৃদয়ে ক্রন্দন।
জন্মদিনের প্রার্থনা খোদা তুমি নাও,
বাংলায় আর একটি মুজিব দাও।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কবিতা- ধন্য মুজিব ধন্য তুমি..

দেশের জন্য তোমার আত্মত্যাগের নাই তুলনা নাই
তোমার বীরত্ব গাঁথা মোরা আজও যে ভুলি নাই;
ভুলবো না কোন দিন—
তোমার জন্মদিনে আজ তোমায় শ্রদ্ধা জানাই তাই।
তোমার কারণে বাঙালিরা মানুষ হয়েছে
বাঙালি জাতির জনক তুমি
তোমার প্রেরণায় দেশের তরে নিবেদিত তাঁরা-
অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছে,
তাইতো আজকে মোরা স্বাধীন,
ধন্য মুজিব ধন্য তুমি ধন্য ধন্য —তোমার জন্মদিন।
ছয় দফা, এগারো দফা, বায়ান্ন কিংবা একাত্তর
পাকহানাদার ইয়াহিয়া জিন্নার দর্প হলো যে চূর।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি তুমি
তোমার নেতৃত্বে সশস্ত্র সংগ্রামে স্বাধীন হলো —মোদের মাতৃভূমি।
তোমায় নিয়ে কবিতা লিখে আজ শোধাই কিছু ঋণ।
তোমার জন্ম মোদের জন্য একটি আশীর্বাদ
তোমার কারণে দূর হলো যে সুদীর্ঘ পরাধীনতার অভিশাপ ।
তোমাকে শহীদ করে যারা দেশকে করেছে নেতৃত্বহীন
শত ধিক শত ঘৃণা তাদের তরে —মোদের রইবে চিরদিন।
তোমার গৌরব গাঁথা অমর কীর্তি যেন
পদ্মা—মেঘনা—যমুনা হয়ে বহে অপার স্বাধীনতায়,
মরেও তাই অমর তুমি —সোনার বাংলায়।
বিনম্র শ্রদ্ধা লাল গোলাপ শুভেচ্ছা বঙ্গবন্ধু হে!
বাঙালির মুক্তি দাতা,
তোমার জন্য নিবেদিত আজ মোর কবিতার খাতা ‌।
লও লও লও —সালাম
বাংলাদেশের স্বাধীনতার অপরাজিত কালাম
শুভ শুভ শুভ হোক তোমার জন্মদিন।
তুমি রবে তুমি কবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে
বাংলা বর্ণ মালায় —যতদিন সূর্য ওঠে ভোরে
তোমার তরে জনম ভরে স্তূতি বন্দনায় রইবো যে মোরা মেতে
গাইবো গান বাংলায় সুরে সুরে,
শুভ শুভ শুভ হোক তোমার জন্মদিন।

       

Tag:১৭ ই মার্চের কবিতা ১৫ টি PDF, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে ছোট কবিতা,বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে কবিতা

Sadia Afroz Niloy

Hey! I am Sadia Afroz Niloy! A student and passionate writer. I love to write blog and connect people Realtime. Send business proposal at [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button