আল্লাহ্ তা’আলার পবিত্র ৯৯ টি নামের অর্থ সহ ফজিলত গুণাবলি
আল্লাহ্ তা’আলার পবিত্র ৯৯টি নামের গুণাবলি (ইয়া আল্লাহু) (আল্লাহ) শব্দটি এই মহা বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, ত্রাণকর্তা, মুক্তিদাতা মহান আল্লাহর নির্দিষ্ট ইসমে জাত। এই পবিত্র নামটি বচন ও লিঙ্গভেদ হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত। বিশেষ কোন ধাতু হইতে এই নামটি উৎপন্ন হয়নি এবং দুনিয়ার প্রচলিত কোন ভাষাতে এই নামের অনুবাদ হয় না। কেননা আল্লাহ্ বলিতে একমাত্র দয়াময় আল্লাহ্ তা’আলাকেই বুঝায়। এই কারণেই এটি ইসমে জাত বলে পরিচিত।
আল্লাহর ৯৯ নাম আরবিতে
১। পবিত্র হাদীস শরীফে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেছেন-“সকল প্রকার যিকির হইতে আল্লাহ নামের যিকিরই সর্বোত্তম।” অপর এক হাদীসে উল্লেখ আছে, যদি কোন ব্যক্তি রাত্রি বেলায় মহান আল্লাহর নামসমূহের যিকির করে তাহলে তাহার অন্তরে নূর পয়দা হইবে এবং সেব্যক্তির মৃত্যুর পর তাহার কবরে নূর চমকাতে থাকবে।
২। হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ) স্বীয় “আমলের উপকারিতা হইতে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে ইয়া আল্লাহু’ এই পবিত্র ইসমে জাতটি ৪,৩৫৭ বার করিয়া চল্লিশ দিন পর্যন্ত পাঠ করিবে তাহলে করুণাময় সৃষ্টিকর্তা ও দয়ালু আল্লাহ্ তা’আলা তাহার মনের সব বাসনা পূর্ণ করে থাকেন। কিন্তু শর্ত হল যে, ‘আমলের দ্বারা ফল লাভ হলে সদা সর্বদা ফকির মিসকিনদেরকে দান-ছদকাহ্ করিতে হয় নতুবা এ আমলের ফজীলত ও মর্যাদা দীর্ঘস্থায়ী থাকে না।
৩। একটি পাক-পবিত্র পেয়ালায় এ পবিত্র ইসমেযাত আল্লাহ্ শব্দটি ৬৭ বার লিখে সে পেয়ালা ধোয়া পানিটি যেকোন পীড়িত ব্যক্তিকে খাওয়ালে ইনশাআল্লাহ্ তাহার পীড়া আরোগ্য হয়।
৪। চিকিৎসকগণ যে রোগীর চিকিৎসায় নিরাশ হয়ে পড়ে সে সব রোগীদের জন্য শেষ ঔষধ হইল প্রতিদিন অসংখ্যবার এ পবিত্র ইসমেযাত আল্লাহ্ নামের যিকির করা।
৫। শুক্রবার (জুমু’আর দিন জুমু’আর নামাযের পূর্বে নির্জন স্থানে বসে ২১১ বার এই পবিত্র ইসমে যাও আল্লাহ্ শব্দের যিকির করিলে মনের সকল বাসনাসমূহ ইনশাআল্লাহ্ পূর্ণ হয় ।
৬। নিয়মিতভাবে দৈনিক ১১১ এ পবিত্র ইসমেযাত আল্লাহ্ শব্দের যিকির করিলে ঈমান মজবুত হয়।
৭। গর্ভবতী নারী প্রসব ব্যথায় কষ্ট পেলে একটু আখের গুড়ের মধ্যে এ পবিত্র গুণবাচক ইসমে ১১১ বার পাঠ করে ফুঁ দিয়ে সে গর্ভবতীকে খাওয়ালে ইনশাআল্লাহ সে গভীনির প্রসব ব্যথা দূর হয়ে অতি সহজে সন্তান প্রসব হইবে।
৮। যাদের স্মরণশক্তি কম এমন শিক্ষার্থীকে গরম রুটিতে শাহাদাত আঙ্গুলি দ্বারা এ পবিত্র নামটি লিখে ৭, ১১, ২১ দিন যাবৎ খাওয়ালে ইনশাআল্লাহ কল্পনাতীত ভাবে তাদের স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
(ইয়া রাহমানু)
হে অনুগ্রহকারী ও করুণাময়!
১। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার যিকির করিলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের প্রতি সকলেই সহানুভূতিশীল থাকবে।
২। এ পবিত্রতম গুণবাচক নামটি ৩১১ বার পাঠ করে মহান আল্লাহর নিকট যে কোন বিষয়ের জন্য অনুগ্রহ কমনা করবে মহান করুণাময় আল্লাহ্ তা’আলা তাহার সে বাসনা পূর্ণ করে দেবেন।
৩। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর ১১১ বার করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠকারী ব্যক্তি ইনশাআল্লাহ সকল প্রকার অন্যায় ও পাপকাজ হইতে মুক্ত থাকতে পারবে এবং সকল অলসতা ও ভুল ভ্রান্তি হইতে মুক্ত থাকবে।
৪। কোন দুষ্ট প্রকৃতির লোকের দুষ্টামি বন্ধ করার নিমিত্তে একটুকরা সাদা কাগজে মেশক জা’অফরানের কালি দ্বারা লিখে সে দুষ্টের বাড়ীতে পুঁতে রাখলে। ইনশাআল্লাহ্ উক্ত লোকের দুষ্টামি বন্ধ হয়ে যাবে।
৫। প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর ২৯৯ বার এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করিলে আল্লাহ্র রহমত প্রাপ্ত হয় এবং মুহাব্বত বৃদ্ধি হয়। সে ব্যক্তি সকল প্রকার বিপদাপদ হইতে মুক্ত থাকে এবং সহজভাবে অনেক নেককাজ করার শক্তি লাভ হয়।
আল্লাহর ৯৯ নাম অর্থ সহ ফজিলত
(ইয়া রাহীমু)
হে দয়াময় ও পরম দয়ালু !
১। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিলে পাঠকের মন ইনশাআল্লাহ্ বিনয়ী ও নম্র হইবে।
২। মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ বা ঘটনা ঘটার ভয় হলে অধিক পরিমাণে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে যাবতীয় বিপদাপদ হইতে ইনশাআল্লাহ্ মুক্তি লাভ করিবে।
৩। যে গাছে ফল কম হয় এই পবিত্র গুণবাচক নামটি চিনামাটির প্লেটে লিখে ধৌত করে সে পানি গাছের গোড়ায় দিলে ইনশাআল্লাহ্ গাছে অনেক বেশী ফল ধরবে।
৪ । কারও সাথে প্রেম-ভালবাসা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এক টুকরা কাগজে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি লিখে নিচে প্রেমিক-প্রেমিকার নাম ও তাদের মায়ের নাম লিখে সে কাগজ ধৌত করা পানি উভয়কে খেতে দিলে ইনশাআল্লাহ্ তাদের প্রেম-ভালবাসা গাঢ় হইবে। (তবে কোনরূপ অবৈধভাবে এ নামের ‘আমল করিলে গুনাহগার হইবে এবং এতে ক্ষতিও হইতে পারে)।
৫। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ বা ঘটনা ঘটার ভয় হলে কিংবা কোন কঠিন বিপদে জড়ায়ে পড়লে “আর রাহমানির রাহীম” এভাবে এ নাম দু’টি অনেক সময় পর্যন্ত পড়তে থাকবে। কিংবা জাফরান কালি দিয়ে একটুকরা সাদা কাগজে লিখে পানি দ্বারা ধুয়ে পান করালে বা তাবীজরূপে সাথে ব্যবহার করিলে যাবতীয় বিপদাপদ হইতে ইনশাআল্লাহ মুক্তি লাভে সক্ষম হইবে।
(ইয়া মালেকু)
হে মালিক প্রভু!
১। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ গুণবাচক নামটি ৬২১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ আর্থিক অভাব-অনটন দূর হইবে ।
২। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে দুপুর বেলায় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১২১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ মনের সংকীর্ণতা, মলিনতা ও যাবতীয় অভাব দূর হয়ে যায়।
৩। প্রতিদিন সূর্যাস্তের সময় নিয়মিতভাবে ৩৩৩ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ মনের মলিনতা দূর হয় এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল প্রকার গুনাহ হইতে মুক্ত থাকা যায়।
(ইয়া কুদ্দুস)
হে পবিত্রতম !
১। শুক্রবার দিন জুমু’আর নামাযের পর এক টুকরা রুটি কিংবা ভাতের উপর ১৮৫ বার পাঠ করে ফুঁ দিয়ে কিংবা লিখে আহার করিলে যাবতীয় বিপদাপদ হইতে মুক্ত থাকা যায় এবং ইবাদাত-বন্দেগীতে মন আকৃষ্ট হয়ে মনের সকল প্রকার অসৎ স্বভাবসমূহ দূরীভূত হয় ।
২। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি রাত্রে ঘুমানোর সময় ১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ স্বপ্নদোষ হইবে না।
৩। ফজরের নামাযের পর সূর্যোদয়ের আগে নিয়মিতভাবে ১১১ বার পাঠ করিলে দয়াময় আল্লাহ্ তা’আলা তাহার বিগত জীবনের সকল গুনাহসমূহ মাফ করে দেন।
(ইয়া সালামু)
ইয়া সালামু হে শান্তি দানকারী!
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি রোগাক্রান্ত ব্যক্তির মাথার নিকট বসে হাত উঠায়ে ১৩৭ বার পাঠ করিলে অথবা রোগাক্রান্ত ব্যক্তি নিয়মিতভাবে ১৩৩ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ যাবতীয় রোগ আরোগ্য হইবে।
২। মনের সকল প্রকার অস্থিরতা দূর করার জন্য নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতিদিন ৭৫ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ মনের সকল প্রকার অশান্তি দূর হয়ে গিয়ে শান্তি ফিরে আসবে।
৩। বিদেশে যাওয়ার পূর্বে ঘর হইতে বের হইবার সময় উল্লিখিত পৰিহ গুণবাচক নামটি পাঠ করে তাওয়াককালতু আলাল্লাহে পাঠ করে ডান পা দিয়ে বেরিয়ে গেলে ইনশাআল্লাহ্ পথের যাবতীয় দুর্ঘটনা হইতে মুক্ত থাকবে।
(ইয়া মু’মিনু)
হে পরম বিশ্বাসী!
১। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে পাঠকারী ব্যক্তি ইনশাআল্লাহ শয়তানের ধোকা হইতে মুক্তি লাভ করবে।
২। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৬৭ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের ঈমান মজবুত হয় এবং মহান আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ভরসা
জন্মে।
৩। নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে পাঠ করিলে আত্মবিশ্বাস দৃঢ় হয় এবং মনের অযথা সন্দেহ দূর হয় ।
৪। যে কোন প্রকার ভয়ের কারণ দেখা দিলে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি
৭৫ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার ভয়-ভীতি দূর হয়।
(ইয়া মুহাইমিনু)
হে রক্ষাকর্তা ও পরম সাহসী!
১। গোসল করে অত্যন্ত পাক পবিত্রতাহার সাথে দু’রাকা’আত নফল নামায নির্জন স্থানে আদায় করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১২৫ বার পাঠ করিলে সকল প্রকারের ভয়ের কারণ সমূহ দূর হয়। মনের ভেতর সাহস বৃদ্ধি হয় এবং অন্তরে মহান আল্লাহ্র নূর পয়দা হয়।
২। একটি আংটির মধ্যে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩ বার খোদাই করে লিখে ব্যবহার করিলে যাবতীয় শত্রু, শয়তান ও জ্বিন-ভূতের আক্রমণ হইতে ইনশাআল্লাহ্ মুক্ত থাকবে।
৩। যাদের সাথে অন্যায়ভাবে শত্রুতা করা হয় তাহারা এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক সংখ্যক বার পাঠ করিলে শত্রুরা তাহার সাথে শত্রুতা বন্ধ করে
ইনশাআল্লাহ্ বন্ধুরূপে পরিণত হইবে।
(ইয়া ‘আযীযু)
হে পরাক্রমশালী!
১। ৪০ দিন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে এ পবিত্র নামটি ৭৫ বার পাঠ করিলে মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে এবং ইনশাআল্লাহ্ কারও মুখাপেক্ষী হইতে হইবে না।
২। যাদের স্ত্রী-পুত্র অবাধ্য হয়ে থাকে এরূপ ব্যক্তিরা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ফজরের নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ অতি শীঘ্রই তাহারা বাধ্য হয়ে উঠবে।
আল্লাহর ৯৯ নাম বাংলা অর্থ সহ
(ইয়া জাব্বারু)
হে অসীম ক্ষমতাশালী!
১। প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২২৫ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ অত্যাচারীর হাত হইতে রক্ষা পাওয়া যায় ।
২। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ২৭৫ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার বিপদাপদ হইতে মুক্ত থাকিবে।
৩। প্রতিদিন সকালে সূর্য উদয় হইতে আরম্ভ করে সম্পূর্ণ সূর্য উদয় হয়ে যাওয়া পর্যন্ত শত্রুর চেহারা স্মরণ করে এ গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে সে শত্রু
তাহার কোন ক্ষতি করিতে পারবে না। এমন কি শয়তানও তাকে কুমন্ত্রণা দিতে পারবে না।
(ইয়া মুতাকাব্বিরু)
হে মহা গৌরবান্বিত !
১। নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৬৯৫ বার পাঠ করিলে পাঠকের মান-সম্মান ও ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং সকল কাজ-কর্মে ইনশাআল্লাহ্ বরকত ও উন্নতি লাভ হইবে ।
২। বিবাহের পর স্ত্রীর সাথে প্রথম মিলনের রাত্রিতে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১২৫ বার পাঠ করে স্ত্রী সহবাস করিলে ইনশাআল্লাহ্ চরিত্রবান ও ভাগ্যবান সন্তান লাভ হইবে।
৩। স্ত্রী সহবাসের পূর্বে এ গুণবাচক নামটি ১২১ বার পাঠ করে স্ত্রী সহবাস করিলে ইনশাআল্লাহ্ সুসন্তান লাভ হইবে।
(ইয়া খালিক্কু)
হে সৃজনকারী বা সৃষ্টিকর্তা!
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি সাতদিন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে দৈনিক ১১১ বার পাঠ করে কোন বিপদ মুক্তির জন্য দু’আ মুনাজাত করিলে ইনশাআল্লাহ্ সে বিপদ দূর হইবে এবং সর্বদা পাঠ করিলে সকল প্রকার বিপদাপদ হইতে রক্ষা পাবে ।
২। শেষ রাত্রে তাহাজ্জুদ নামাযের পর অধিক পরিমাণে এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করিলে মহান আল্লাহর নির্দেশে একদল ফিরিশতা নিযুক্ত করেন এবং ঐ সকল ফিরিশতাগণ কিয়ামাত পর্যন্ত পাঠকারীর ‘আমলনামায় এ সবের ছাওয়াব লিখে রাখতে থাকবেন ।
(ইয়া বারীয়্যু(
হে মহা মুক্তিদাতা!
১। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার গুনাহ হইতে মুক্তি লাভ করবে এবং কবর আযাব হইতে রক্ষা পাবে।
২। নতুন পাতিল ভাঙ্গা চাঁড়ার উপর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি খোদাই করে লিখে সে চাড়ার চুকরাটি ক্ষেতের কোণে পুঁতে রাখলে ইনশাআল্লাহ্ অধিক ফসল উৎপন্ন হইবে এবং সকল প্রকার কীট-পতঙ্গ হইতে মুক্ত থাকিবে।
৩। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় নিয়মিতভাবে ৪১ বার করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ জ্ঞান-বুদ্ধি ও শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পাইবে।
(ইয়া মুছাওয়্যেরু)
হে আকৃতি গঠনকারী!
১। যে সকল বন্ধা নারীর সন্তান হয় না অথবা গর্ভসঞ্চার হলেও তা নষ্ট হয়ে যায় এরূপ মহিলারা একাধারে সাতদিন রোযা রেখে প্রতিদিন ইফতাহারীর সময় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১ বার পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিয়ে সে পানি দ্বারা ইফতাহার করবে এবং পানি পান করার পর পুনরায় ২১ বার উল্লিখিত নামটি পাঠ করবে এরূপ আমল যথা নিয়মে করিতে পারলে ইনশাআল্লাহ্ গর্ভে সন্তান জন্মিবে এবং গর্ভ রক্ষা হইবে।
২। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩৭৫ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ নতুন নতুন বিষয় আবিষ্কারের ক্ষমতা লাভ করা যায় ।
(ইয়া গাফ্ফারু)
হে অপরাধ মার্জনাকারী!
১। শুক্রবার দিন জুমু’আর নামাযের পর মসজিদে বসে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার অভাব অনটন দূর হয়ে যাবে।
২। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ৪১ দিন পর্যন্ত এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ সমুদ্রের ফেনাসমূহের তুল্য গুনাহরাশি মাফ হয়ে যাবে।
(ইয়া কাহহারু)
হে মহাশাস্তিদানকারী!
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি নিয়মিতভাবে দৈনিক অধিক পরিমাণে পাঠ করিলে সংসারের প্রতি মোহ দূর হয়ে একমাত্র আল্লাহর প্রতি দৃঢ়বিশ্বাস জন্মে এবং কোন শত্রু তাহার কোন ক্ষতি করিতে পারিবে না।
২। যাদুক্রিয়া দ্বারা কোন লোকের ধ্বজভঙ্গ রোগ হলে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি একটি চিনা মাটির প্লেটে লিখে পানি দিয়ে ধুয়ে সেই পানি ধ্বজভঙ্গ রোগীকে পান করিতে দিলে ইনশাআল্লাহ্ যাদুক্রিয়া নষ্ট হয়ে সেই ব্যক্তি রোগ হইতে মুক্তিলাভ করিবে।
৩। যারা যাদু খেলা দেখায় তাহাদের সীমারেখার ভিতরে বাম হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলির দ্বারা চিমটি কেটে ধরে এই গুণবাচক নামটি পাঠ করিতে থাকিলে
ইনশাআল্লাহ্ যাদুকরেরা যাদুকরী খেলা দেখাতে পারিবে না।
(ইয়া ওয়াহহাবু)
হে পুরস্কার দানকারী!
১। চাশতের নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি সিজদায় গিয়ে ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ অসংখ্য সম্পদের অধিকারী হইবে এবং প্রভাবশালী রূপে গণ্য হইবে।
২। রাত্রির শেষভাগে নির্জন স্থানে কিংবা মসজিদে বসে (খালি মাথায়) দু’হাত উঠায়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ মনের সকল আশা পূরণ হয়।
(ইয়া রায্যাক্কু)
হে রিদানকারী!
১। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ফজরের নামাযের আগে ঘরের উত্তর পশ্চিম কোন হইতে আরম্ভ করে) দশবার করে দাঁড়ায়ে পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ যাবতীয় অভাব অনটন দূর হইবে।
২। প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর এ গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সে ব্যক্তি কখনও উপবাস থাকবে না এবং রিক্তহস্ত হইবে না ।
৩। এক টুকরা কাগজে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি লিখে শস্যক্ষেতের বেড়ার বেঁধে দিলে ইনশাআল্লাহ্ পোকার উপদ্রব হইতে রক্ষা পাবে।
(ইয়া ফাত্তাহু)
হে উন্মুক্তকারী!
১। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ফজরের নামাযের পর দু’হাত বুকের উপর রেখে ৭৫ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল কাজ কর্ম সহজ সাধ্য হইবে এবং যাবতীয় অভাব-অনটনসমূহ দূর হয়ে সুপ্রসন্নতা লাভ করিবে।
২। যে কোন প্রকার উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭৫ বার পাঠ করে দু’আ মুনাজাত করিলে ইনশাআল্লাহ্ সে উদ্দেশ্য সফল হইবে ।
(ইয়া ‘আলীমু)
হে মহাজ্ঞানী!
সর্বদা নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ জ্ঞান-বুদ্ধি-বৃদ্ধি হইবে ও মনের কপাট খুলে যাবে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে গুনাহ মাফ হইবে এবং মা অরিফাত অর্জন হইবে।
(ইয়া ক্কাবেদ্বু)
হে আয়ত্বকারী!
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি একাধারে ৪১ দিন পর্যন্ত একটুকরা রুটির উপর লিখে সে রুটির টুকরাটি খেয়ে ফেললে জীবনে কখনও ক্ষুধায় কষ্ট পাবে না।
২। নতুন চিনামাটির বর্তনে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১০১ বার মেশক জাফরান কালি দিয়ে লিখে গোলাপ জল দিয়ে ধৌত করা পানি যাকে পান করায়ে দিবে সেই ব্যক্তি ইনশাআল্লাহ্ কৃতদাসের মত বাধ্য হয়ে থাকিবে। কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্যে এইরূপ আমল করার ফলে কোন কাজ হইবে না বরং এরূিপ করিলে গুনাহগার হইবে।
(ইয়া বাসিতু)
হে প্রসারকারী!
প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ফজরের নামাযের পর মুনাজাতের মত হাত উঠিয়ে ২১ বার পাঠ করে ফুঁ দিয়ে সে হাত মুখের উপর মুছে নিবে ইনশাআল্লাহ্ এরূপ ‘আমলের ফলে অন্যের মুখাপেক্ষী হইতে হইবে না। এবং রুজীতে বরকত হইবে।
(ইয়া খাফেদ্বু)
হে সংকোচনকারী!
১। মনের সকল আশা পূরণের উদ্দেশ্যে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৫১১ বার পাঠ করিলে মনের সকল আশা পূর্ণ হইবে এবং ৭২১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ শত্রুর অপকার হইতে রক্ষা পাইবে।
২। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠ করিলে আল্লাহর রহমতের ছায়ায় স্থান পাইবে এবং বেকার যুবকদের বেকারত্ব দূর হইবে।
(ইয়া রাফে’উ)
হে উন্নতি দানকারী!
১। বিদেশে যাবার সময়ে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭৫ বার পাঠ করিয়া এরপর ‘তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ্’ বলে ডান পা দিয়ে বাহির হইলে ইনশাআল্লাহ্ নিরাপদে গন্তব্য স্থলে পৌঁছতে সক্ষম হইবে এবং পথে কোনরূপ দুর্ঘটনার ভয় থাকিবে না। এছাড়া মনের সকল প্রকার আশা-আকাঙ্খা পূর্ণ হইবে।
২। এই গুণবাচক নামটি দিনের বেলায় এবং রাত্রে শোয়ার সময় ১২১ বার পাঠ করিলে মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া ৭১১ বার পাঠ করিলে অত্যাচারীর জুলুম-অত্যাচার হইতে ইনশাআল্লাহ্ রক্ষা পাবে।
(ইয়া মু‘য়েযযু)
হে সম্মানদাতা!
১। এই পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রত্যেক সোমবার ও শুক্রবার দিন মাগরিবের নামাযের পর নিয়মিতভাবে ৪১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ সকলের কাছে সম্মান লাভ করিবে এবং পৃথিবীর মধ্যে প্রতাপশালী হইবে।
২। প্রতিদিন ‘ইশার নামাযের পর এই পবিত্র গুণবাচক নামটি জায়নামাযের উপর দাঁড়ায়ে ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ গুপ্ত ধনের সন্ধান পাওয়া যায়।
(ইয়া মুযিল্লু)
হে অপমানকারী!
১। এই পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রত্যেক ফরয নামাযের পর সিজদায়গিয়ে ৭৫ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ শত্রুর অনিষ্ট হইতে রক্ষা পাওয়া যায় এবং কোন লোক তাহার অধিকার নষ্ট করিতে পারে না।
২। সব সময় নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ৮১১ বার পাঠকারীকে মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ সকল প্রকার অপমান হইতে হিফাজতে রাখিবেন।
৩। হাকীমের নিকট যাবার আগের দিন সূর্যাস্তের সময় এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিবে এর পরদিন হাকীমের সামনে গিয়ে এ পবিত্র
নামের যিকির করিতে থাকিবে। ইনশাআল্লাহ হাকীম তাহার প্রতি সদয় হইয়া উঠিবেন ।
(ইয়া সামী ‘উ)
হে শ্রবণকারী।
১। বৃহস্পতিবার দিন চাশতের নামাযের পর কারও সাথে কথা না বলে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৫১১ বার পাঠ করিয়া মহান আল্লাহ্র নিকট যে দু’আ করা হইবে ইনশাআল্লাহ্ সে দু’আই দয়াময় আল্লাহ্ কবুল করিবেন।
২। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে ১১ বার ইস্তিগফার ১১ বার দুরূদ শরীফ ১১ বার আয়াল কুরসী পুনরায় ১১ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করে ফজরের দু’ রাকা’আত সুন্নাত নামায আদায় করে ফরজের পূর্বে পুনরায় ১১ বার দুরূদ শরীফ ১১ বার আয়াতুল কুরসী ও ১১ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করে স্বীয় মনোবাসনা পূর্ণ হইবার জন্য দু’আ মুনাজাত করে ফজরের দু’রাকা’আত ফরয নামায আদায় করবে এভাবে ১১ দিন আমল করবে। ফলাফল শুভ না হলে পরবর্তী ১১ দিন যথানিয়মে আদায় করিলে ইনশাআল্লাহ অবশ্যই শুভ ফলপ্রাপ্ত হইবে।
(ইয়া বাছীরু)
হে সর্বদ্রষ্টা!
১। শুক্রবার দিন জুমু’আর নামাযের সুন্নাতের পর দু’রাকা’আত ফরজ নামাযের আগে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিয়া চোখে ফুঁ দিলে চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয় এবং সৎসাহসী ও আল্লাহ্ তা’আলার নৈকট্য অর্জন করা যায়।
২। প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি তিনবার পাঠ করে দু’ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির পিঠে ফুঁ দিয়ে চোখে মুছে দিলে ইনশাআল্লাহ চক্ষু রোগ ভাল হয়ে যাবে এবং কখনও দৃষ্টি শক্তি কমবে না ।
(ইয়া হাকামু)
হে মীমাংসাকারী!
১। নিয়মিতভাবে রাত্রের মধ্য অংশে উঠে অযূ করে পাক পবিত্র হয়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১২১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ মানসিক পবিত্রতা অর্জন হইবে।
২। যে কোনরূপ কঠিন কাজ উপস্থিত হলে অধিক সংখ্যক বার এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার কঠিন কাজ সহজ সাধ্য হইবে।
৩। পবিত্র গুণবাচক নামটি একগ্লাস পানিতে ২১ বার পাঠ করিয়া ফুঁ দিয়ে সে পানি শস্য ক্ষেতে ছিটায়ে দিলে ইনশাআল্লাহ্ ক্ষেতে অধিক শস্য জন্মিবে।
(ইয়া ‘আদলু)
হে ন্যায় বিচারক
১। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে ২১ টুকরা রুটির উপর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১ বার লিখে আহার করিলে ইনশাআল্লাহ মনের পরিবর্তন হইবে এবং সকল লোক তাহার বাধ্য থাকিবে।
২। দুশ্চরিত্রবান স্ত্রীর কপালের চুল ধরে যে কোন শনিবার দিন হইতে আরম্ভ করে তিনদিন পর্যন্ত এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠ করিলে গুপ্ত-প্রণয়ী হাতে নাতে ধরা পড়বে। প্রথমবারে না হলে দ্বিতীয় বার চেষ্টা করিবে, নতুবা তৃতীয় বারে ইনশাআল্লাহ্ অবশ্যই ধরা পড়িবে।
(ইয়া লাত্বীফু)
হে সূক্ষ্মতম !
১। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৩৩ বার পাঠ করিলে পাঠকের রুজী রোযগার বৃদ্ধি হইবে এবং কোন প্রকার রোগ-ব্যাধি থাকলেও ইনশাআল্লাহ্ রোগ মুক্ত হইবে।
২। অবিবাহিতা উপযুক্ত মেয়েদের বিবাহ না হলে তাহারা প্রতিদিন অসংখ্যবার এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করিলে ইনশাআল্লাহ্ যথা শীঘ্রই বিবাহের বন্দোবস্ত হইবে।
৩। অত্যন্ত পাক পবিত্রতাহার সাথে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠকারীর সকল মনের আশা ইনশাআল্লাহ্ পূরণ হইবে।
(ইয়া খাবীরু)
হে সর্ব জ্ঞানী!
১। সর্বদা নিয়মিত ভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করিলে পাঠকের মনের যাবতীয় খারাপ চিন্তা-ভাবনা দূর হয় ।
২। কোন খারাপ ও দুশ্চরিত্রবান লোকের চক্রান্তে পড়িলে কিংবা কোন হিংস্র জন্তু আক্রমণ করিলে অধিক পরিমাণে এই পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির দ্বারা মুক্তিলাভ করা যায়।
৩। সাতদিন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে অসংখ্যবার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ অনেক গোপন ও বাতেনী তত্ত্ব লাভ করা যায়
(ইয়া হালীমু)
হে ধৈর্যশীল! স্থিতিশীল!
১। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি কোন ধনী লোক বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ১১৯ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের ধনরত্ন ও নেতৃত্ব নিরাপদ থাকিবে।
২। এক টুকরা সাদা কাগজে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি লিখে পানি দ্বারা ধুয়ে সে পানি ক্ষেতে ছিটায়ে দিলে ইনশাআল্লাহ্ যাবতীয় কীট-পতঙ্গের ক্ষতি হইতে রক্ষা পেয়ে অধিক পরিমাণে শস্য জন্মিবে।
৩। এই ছাড়া ঐ পড়া পানি ব্যবসায়ের মালামালের উপর এবং পাল্লার মধ্যে ছিটায়ে দিলে ইনশাআল্লাহ্ ব্যবসায়ে উন্নতি লাভ করিতে পারবে। আর ঐ পানি গৃহপালিত পশুর গায়ে ছিটায়ে গোসল করায়ে দিলে ইনশাআল্লাহ্ সুস্থ ও নিরাপদ থাকিবে।
(ইয়া ‘আযীমু)
হে মহান উন্নত!
১। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নমটি ১০৫১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ মান-সম্মান বৃদ্ধি পাইবে এবং সকল রোগ-শোক হইতে মুক্ত থাকবে।
২। চাকুরী হারা লোক এবং স্বামীকর্তৃক অনাদৃতা নারীরা নিয়মিতভাবে ৭ দিন পর্যন্ত সূর্যোদয়ের সময়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১,১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ উভয় প্রকার আশা পূর্ণ হইবে।
(ইয়া গাফুরু)
হে ক্ষমাশীল!
১। এক টুকরা কাগজে এই পবিত্র নামটি ৭ বার লিখে পানিতে ধৌত করে সে পানি রোগীকে খাওয়ায়ে দিলে ইনশাআল্লাহ্ রোগের উপশম হইবে এবং পাঁহইবার লিখে তাবিজরূপে সঙ্গে রাখলে সকল প্রকার জ্বর আরোগ্য হয়।
২। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ১৩১৭ বার পাঠ করিলে গুনাহসমূহ ক্ষমাপ্রাপ্তির যোগ্যতা লাভ করা যায়।
(ইয়া শাকুরু)
হে কৃতজ্ঞতা পছন্দকারী!
১। নিরূপায় ব্যক্তি একটু পানিতে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭৫ বার পাঠ করে ফুঁ দিয়ে সে পানি ঘাড়ে ও বুকে মালিশ করিলে ইনশাআল্লাহ্ তাহার স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরে কোন প্রকার ব্যথা বেদনা থাকলে তা দূর হইবে।
২। কন্যাদায়ী ব্যক্তি ও ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিরা সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়ে ৭ দিন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে ২১ বার করে আকাশের দিকে মুখ করে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ অতি শীঘ্রই শুভ ফলাফল লাভ হইবে।
৩। কোন রুক্ষ্ম স্বভাবের মাতা-পিতা ও শিক্ষকের দিকে তাকায়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে অতি শীঘ্রই তাদের প্রিয়পাত্র হওয়া যায়।
(ইয়া আলীয়্যু)
হে উন্নত! মহান!
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৪১ বার পাঠ করিলে অথবা এক টুকরা কাগজে লিখে তাবিজ রূপে ব্যবহার করিলে অভাব অনটন দূর হইবে এবং প্রবাসে থাকলে অতি তাড়াতাড়ি স্বজনদের সাথে মিলিত হইতে পারবে।
২। এক টুকরা কাগজে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি লিখে ছোট ছেলে-মেয়ের সাথে তাবিজ রূপে ব্যবহার করিলে ইনশাআল্লাহ তাহারা সুস্থ-সবল ও বলিষ্ঠ হইবে এবং রোগমুক্ত থাকিবে।
(ইয়া কাবীরু)
হে বৃহত্তম! শ্রেষ্ঠ!
১। এই পবিত্র গুণবাচক নামটি এক টুকরা কাগজে লিখে পানিতে ভিজায়ে সে ধৌত করা পানি খাদ্যদ্রব্যের সাথে মিশায়ে অথবা পাঠ করে খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে ফুঁ দিয়ে স্বামী স্ত্রীতে সে খাদ্য আহার করিলে উভয়ের মধ্যে ইনশাআল্লাহ্ গাঢ় ভালভাসা স্থাপিত হইবে ।
২। কোন প্রকার বিপদাপদে পড়ে এই পবিত্র গুণবাচক নমটি ২৭৫ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সমস্ত বিপদাপদ হইতে মুক্তিলাভ করিবে।
-(ইয়া হাফীযু)
হে হিফাজতকারী!
এই পবিত্র গুণবাচক নামটি এক টুকরা কাগজে লিখে ছোট ছেলে-মেয়ের গলায় তাবিজ রূপে ব্যবহার করিলে তাহারা আগুনে পোড়া, পানিতে ডুবে মরা হইতে ইনশাআল্লাহ্ রক্ষা পাবে এবং জ্বিন-ভূত, বাঘ, ভাল্লুকে কোন প্রকার ক্ষতি করিতে পারবে না (বহু পরীক্ষিত)
(ইয়া মুক্কীতু)
হে শক্তিদানকারী!
১। কোন রোযাদার ব্যক্তি এই নাম পাঠ করিয়া মাটিতে ফুঁ দিয়ে অনবরত সে মাটি শুঁকতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ তাহার মনোবল, সাহস ও শক্তি বৃদ্ধি
হইবে ।
২। ভ্রমণ অবস্থায় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭ বার পাঠ করে একটি মাটির পাত্রের পানিতে ফুঁ দিয়ে সে পানি পান করিলে ইনশাআল্লাহ্ প্রবাসকালীন সময়ের সকল প্রকার ভয়-ভীতি হইতে নিরাপদে থাকা যায়।
(ইয়া হাসীবু)
হে হিসাব গ্রহণকারী!
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রয়োজন অনুযায়ী একাধারে ৭ দিন পর্যন্ত সূর্যোদয়ের আগে এবং মাগরিবের নামাযের পর ২১ বার পাঠ করিলে হিসাব নিকাশে অথবা ভাগ বন্টনে কারও বিশ্বাস ঘাতকতা কিংবা প্রতাহারণার আশংকা থাকে
(ইয়া জালিলু)
হে মহিমান্বিত! প্রতাপশালী
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি নিয়মিত ভাবে দৈনিক ১০৭ বার পাঠ করিলে কিংবা মেশক, জা‘অফরানের কালি দ্বারা এক টুকরা কাগজে লিখে তাবিজ রূপে ব্যবহার করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকলের নিকট সম্মান লাভ করা যায় ।
(ইয়া কারীমু)
হে অনুগ্রহকারী! সম্মানী !
প্রতিদিন রাত্রি বেলায় শোয়ার সময়ে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩০৭ বার পাঠ করে ঘুমালে ইনশাআল্লাহ্ সকলের নিকট আদর-যত্ন ও মান-সম্মান লাভ করা যায়। (বর্ণিত আছে যে, হযরত আলী (রাঃ) সর্বদা এ ‘আমল করিতেন)
(ইয়া রাক্বীবু)
হে তত্বাবধানকারী!
১। কারও কোন দ্রব্য হারানো গেলে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অত্যন্ত পাক | পবিত্র অবস্থায় ৩৪৩ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সে হারানো বস্তুটি পাওয়া | যাইবে। অবশ্য চুরি হয়ে, হস্তান্তরিত না হয়ে থাকিলে ।
২। বিদেশ গমনের সময় কিংবা কোথাও যাবার সময় ছেলে-মেয়েদের ঘাড়ের উপর হাত রেখে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭ বার পাঠ করে ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ্ তাহারা নিরাপদে থাকিবে।
৩।প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর অত্যন্ত পাক পবিত্র অবস্থায় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২২৫ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকারীর জীবন্ত অবস্থ তাহার সন্তান-সন্ততি মারা যাবে না।
৪। স্ত্রীলোকের গর্ত নষ্ট হইবার সম্ভাবনা থাকিলে প্রতিদিন ভোর বেলায় পর্তিনীগণ এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পবিত্রতার সাথে ২১ বার পাঠ করিতে তাদের গর্ভ নষ্ট হইবার ভয় থাকে না।
(ইয়া মুজীবু)
হে প্রার্থনা কবুলকারী!
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অত্যন্ত মনযোগের সাথে ৮৬ বার পাঠ করে মহান আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করিলে ইনশাআল্লাহ্ মহান আল্লাহ্ তা’আলা তাহার সে দু’আ কবুল করেন।
২। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচ নামের যিকির কারীর অন্তর আল্লাহ্ তা’আলা মহাব্বতে পূর্ণ হইয়া যায় এবং লোক সমাজে সমাদৃত ও সম্মানিত হইয়া থাকে।
(ইয়া ওয়াসিউ)
হে প্রশস্তকারী!
১। এই পবিত্র গুণবাচক নামটি সর্বদা অধিক পরিমাণে পাঠ করিলে ধনবান ও সমৃদ্ধশালী হওয়া যায়।
২। প্রতিদিন তাহাজ্জুদ নামাযের পর নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করিলে পাঠকের মনের যাবতীয় খারাপ চিন্তা-ভাবনা ইনশাআল্লাহ্ দূর হইয়া যাইবে এবং পাঠকের অন্তরে আল্লাহ্র নূর সৃষ্টি হইবে।
(ইয়া হাকীমু)
হে মহাজ্ঞানী!
১। প্রতিদিন মধ্য রাত্রে ঘুম হতে জাগ্রত হইয়া এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিলে জ্ঞান-বুদ্ধি বৃদ্ধি পাবে এবং পাঠকের সকল প্রকার গুনাহসমূহ আল্লাহ তা’আলা নিজে গোপন করিয়া রাখিবেন।
২। কোন পরীক্ষার্থী ব্যক্তি এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিয়া পরীক্ষা দিতে আরম্ভ করিলে ইনশাআল্লাহ্ পরীক্ষায় ভাল ফলাফল লাভ করিতে পারিবে এবং তাহার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাইবে।
(ইয়া ওয়াদূদু)
হে শ্রেষ্ঠ বন্ধু!
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা গাঢ় করার উদ্দেশ্যে কোন প্রকার খাদ্য দ্রব্যের উপর ১২১ বার পাঠ করিয়া ফুঁ দিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে খাওয়ায়ে দিবে এবং কারও সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনের জন্য ৭৫ বার পাঠ করিয়া কোন খাদ্য-দ্রব্যে ফুঁ দিয়ে খাওয়ালে বন্ধুত্ব গাঢ় হবে। আর এক টুকরা রেশমী কাপড়ে লিখে সঙ্গে রাখলে লোকের নিকট আদরণীয় হবে।
২। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি এক টুকরা সাদা কাগজে লিখে তাবীজরূপে ছোট ছেলে-মেয়ের হাতে বা গলায় বেঁধে দিলে ইনশাআল্লাহ্ ঘুমের মধ্যে বিছানায় প্রস্রাব করবে না।
৩। অবাধ্য ও দুষ্ট প্রকৃতির ছেলে-মেয়েদের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে এ পবিত্র নামটি ৭ বার পাঠ করিয়া ফুঁ দিতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ তারা বাধ্যগত ও শান্তশিষ্ট হইয়া উঠিবে।
(ইয়া মাজীদু)
হে মহিমান্বিত, সম্মানিত !
১। কোন ধবল-কুষ্ঠরোগী প্রত্যেক চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের দিনে রোযা রেখে প্রতিদিন ইফতারের সময়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ ঐ রোগ হতে সে ব্যক্তি আরোগ্য লাভ করবে।
২। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিয়া নিজের শরীরে ফুঁ দিলে সকল লোক এবং আত্মীয়-স্বজনের নিকট প্রিয় পাত্র হবে।
(ইয়া বা’য়েছু)
হে পুনরুত্থানকারী!
১। প্রতিদিন রাতে শোয়ার সময়ে বুকের উপর হাত রেখে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করিয়া ঘুমালে ইনশাআল্লাহ্ তার ইলেম ও হিকমত বৃদ্ধি হবে।
২। যাদের মেধাশক্তি কম, কিছুই মনে থাকে না তারা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বেজোড় সংখ্যায় অসংখ্যবার এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পাইবে।
(ইয়া শাহীদু)
হে সাক্ষ্যদানকারী!
প্রতিদিন সকাল বেলায় নিয়মিতভাবে অবাধ্য স্ত্রী-পুত্রের কপালের চুল ধরে আকাশের দিকে তাকায়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১ বার পাঠ করবে। অথবা ১১১১ বার পাঠ করিয়া তাদের শরীরে ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ্ তারা বাধ্যগত হইয়া থাকবে।
(ইয়া হাক্কক্কু)
হে সত্য স্বরূপ!
১। যে কোন প্রকার বিপদ আপদ দেখা দিলে এক টুকরা কাগজের চার কোণে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি লিখে উক্ত কাগজের টুকরাটি শেষ রাত্রে হাতের তালুতে রেখে খোলা আকাশের নীচে দাঁড়ায়ে যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব দাঁড়ায়ে থাকবে ইনশাআল্লাহ্ সকল বিপদাপদ দূর হইয়া যাইবে ।
২। কোন বস্তু হারানো গেলে উপরে উল্লিখিত নিয়মে ‘আমল করিলে ইনশাআল্লাহ্ হারান বস্তু ফিরে পাবে।
(ইয়া ওয়াকীলু)
হে দায়িত্বশীল কার্যকারী!
১। কোনরূপ ঝড়-তুফান দেখা দিলে উল্লিখিত পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ ঝড় তুফানের ক্ষতি হতে মুক্ত থাকবে।
২। প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি সময়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৯৭ বার পাঠ করিলে সকল প্রকার মনের বাসনা পূর্ণ হয়।
(ইয়া ক্বাওয়ীয়্যু)
হে শক্তিশালী ও অপরাজেয় !
কোন ব্যক্তির কোন শত্রুর ভয় হলে ১০১১টি আটার গুলি তৈরী করিয়া প্রত্যেকটির উপর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিয়া ফুঁ দিয়ে ঐ আটার গুলিসমূহ পাখীকে খাওয়ায়ে দিবে এবং মনে মনে শত্রুকে দমনের নিয়্যত করবে ইনশাআল্লাহ্ শত্রু দমন হইয়া যাইবে। আর সর্বদা এই নামের যিকির করিলে শক্তি ও সাহস বৃদ্ধি পাইবে এবং আলস্যতা দূর হইবে।
(ইয়া মাতীনু)
হে দৃঢ়, অটল!
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামের এক ফজীলত উল্লিখিত ইয়াক্কাওয়ীয়া নামের অনুরূপ।
২। কোন স্ত্রীলোকের বুকের দুধ কমে গেলে অথবা কোন শিশু দুধ পান না করিলে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি লিখে পানি দ্বারা ধৌত করিয়া স্ত্রী লোককে পান করাবে এবং তার বুকের দুধগুলো একটু পানিদ্বারা ধুয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ্ দুধ বৃদ্ধি পাবে এবং কোন অসৎ স্বভাবের লোক এ পবিত্র নামের যিকির করিলে তার মনের অসৎ স্বভাব দূর হবে।
(ইয়া ওয়ালিয়্যু)
হে পরম বন্ধু বা সাহায্যকারী!
১। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠ করিলে সকলে তাহাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করিবে।
২। কোনরূপ কঠিন বিপদের সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অত্যন্ত পাক পবিত্রতার সাথে ১০১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার বিপদ হইতে সে ব্যক্তি রক্ষা পাবে।
৩। দুশ্চরিত্রবান কোন লোক পাক-পবিত্র হইয়া প্রথমে ও শেষে কয়েকবার দুরূদ শরীফ পাঠ করিয়া অসংখ্যবার এই নামের যিকির করিলে ইনশাআল্লাহ্
তার সে স্বভাব দূর হইবে ।
৪। কোন নতুন ব্যবসায়ে হাত দিলে কিংবা বাড়ী ঘর বাঁধা শুরু করিলে এবং “বিবাহের কাজ আরম্ভ করিলে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ‘ইশার নামাযের পর ২১ বার, দুরূদে তাজ ৭ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সে কাজ সুন্দরভাবে সমাধা হইবে।
(ইয়া হামীদু)
হে প্রশংসিত!
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর ৯৫ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার অসৎ স্বভাব দূর হইয়া সে ব্যক্তি সৎ ও চরিত্রবান হইবে।
২। নিয়মিতভাবে এ নামের ‘আমলকারী ব্যক্তিকে সকল লোক ভালবাসে এবং তার দেহ মনের যাবতীয় রোগ দূর হইয়া যায়।
(ইয়া মুহছিয়্যু)
হে সর্বত্র বিরাজমান, শুমারকারী!
১। মহান আল্লাহ্র “ইবাদাতে কোন প্রকার অলসতা দেখা দিলে রাত্রে শোয়ার সময় বুকের উপর হাত রেখে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার অলসতা দূর হইয়া যাইবে।
২। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে ১০১১ বার পাঠ করিলে কিয়ামাতের দিন আযাব হতে মুক্তিলাভ করবে এবং যাবতীয় হিসাব নিকাশ সহজ হবে।
৩। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১ টুকরা রুটির উপর ২১ বার পাঠ করিয়া ফুঁ দিয়ে আহার করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল লোক তার বাধ্যগত ও বশীভূত হবে।
(ইয়া মুবদীয়্যু)
হে আদি স্রষ্টা!
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি কোন গর্ভবতী স্ত্রীলোকের পেটের উপর তার স্বামী ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলী দ্বারা ১৯ বার করিয়া একাধারে ২১ দিন। পর্যন্ত লিখে দিলে ইনশাআল্লাহ্ গর্ভ নিরাপদে থাকবে এবং যথা সময়ে সন্তান প্রসব করবে।
২। প্রথমে ১০০ বার দুরূদ শরীফ এরপর ১১১ বার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিয়া পুনরায় ১০০ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করিয়া নতুন কোন কাজ আরম্ভ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সে কাজ সহজসাধ্য হইয়া যায়।
(ইয়া মু’য়ীদু)
হে স্থিতিদানকারী!
১। কোন কথা ভুলে গেলে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি মনযোগের সথে কয়েকবার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ ভুলে যাওয়া কথা স্মরণ হবে।
২। কোন লোক হারানো অথবা পালায়ে গেলে ২১ রাত্রে শোয়ার পূর্বে ঘরের চার কোণে দাঁড়ায়ে প্রতি কোণে ৭১ বার করিয়া এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করবে এবং মনে মনে এরূপ বলিবে যে, হে প্রত্যাবর্তনকারী আল্লাহ্। অমুকের পুত্র অমুককে ফিরায়ে দাও। এইরূপ ‘আমলের ফলে ইনশাআল্লাহ্ ২১ দিনের মাঝেই সেই লোকের সন্ধান পাবে কিংবা সে ফিরে আসিবে।
৩। যাদের পারিবারিক আচার ব্যবহার খারাপ হইয়া গিয়াছে, আধুনিকতার প্রকোপে রোযা নামায বাদ হইয়া যাচ্ছে, সে পরিবারের একজন পরহিজগার ও নামাযী ব্যক্তি প্রতিশ্বাসে একবার করিয়া এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ পুনরায় সকলে ইসলামী ভাবধারায় ফিরে আসবে।
(ইয়া মুহয়ী)
হে জীবনদানকারী!
১। কোন লোকের মনে ‘আযাইবের ভয় হলে ৭ দিন পর্যন্ত এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিয়া শরীরে ফুঁ দিবে। ইনশাআল্লাহ্ মন নিজের বশে এসে মহান আল্লাহ্র পথে পরিচালিত হবে।
২। কোন লোকের জেল হবার ভয় হইলে কিংবা দূরে কোথাও চলে যাবার ভয় হলে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক অসংখ্যবার পাঠ করিতে থাকিবে। ইনশাআল্লাহ্ এইরূপ আমলের ফলে সে আশঙ্কা দূর হবে।
(ইয়া মুমীতু)
হে মৃত্যুদানকারী!
১। কারও মনের মধ্যে কোনরূপ ভয় দেখা দিলে একাধারে ৭ দিন পর্যন্ত কাঁধের উপর হাত রেখে ৭ বার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ মনের সকল প্রকার ভয়-ভীতি দূর হয়।
২। যে বিবাহিত পুরুষ নিজের স্ত্রীকে ব্যতীত অসৎ উদ্দেশ্যে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ায় ঘরের স্ত্রীকে দেখিতে পারে না। সে বিবাহিতা স্ত্রী প্রতি শুক্রবার দিন ফজরের নামাযের পর সে অমৃতেই নিজের হাতে রুটি তৈরী করিয়া একটি রুটি হাতে নিয়ে খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে উপরের দিকে নজর রেখে রুটির উপর ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলী ঘুরাতে ঘুরাতে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি তিনবার পাঠ করিয়া ফুঁ দিবে এবং স্বামীর চরিত্র সংশোধনের জন্য অনুনয় বিনয়ের সহিত মহান আল্লাহ্ তা’আলা কাছে দু’আ মুনাজাত করিবে। এরপর ঐ রুটি দ্বারা স্বামীকে নাস্তা খেতে দিবে এবং এভাবে তিনদিন পর্যন্ত করার পর ইনশাআল্লাহ স্বামীর কু-স্বভাব দূর হবে। উল্লেখ্য যে, প্রথম সপ্তাহে না হলে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে অবশ্যই সুফল পাওয়া যাইবে।
৩। প্রতিদিন এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৫৩১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ – সে ব্যক্তি যাবতীয় অপব্যয় হতে রক্ষা পাবে এবং ইবাদাত-বন্দেগীতে অলসতা থাকিলে তা দূর হইয়া যাইবে।
(ইয়া হাইয়্যু)
হে অমর, চির জীবন্ত !
১। প্রত্যেক ফরয নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৪১বার পাঠকারী ব্যক্তি সকল প্রকার রোগ-শোক হইতে নিরাপদে থাকিবে এবং ৪৯বার পাঠ করিয়া পানিতে ফুঁ দিয়ে সে পানি কোন রোগীকে পান করাইলে ইনশাআল্লাহ্ সে রোগী সুস্থতা লাভ করিবে।
২। ফিরিশতাগণ সর্বদা এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করার ফলে তাদের কোনরূপ আহার ও নিদ্রার প্রয়োজন হয় না। সুতরাং এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে পাঠ করিলে অশেষ বরকত লাভ হয়।
(ইয়া ক্কাইয়্যুমু)
হে চিরস্থায়ী!
১। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ১৮৭ বার করিয়া এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে অতি নিদ্রা দূর হয় এবং সুন্দরভাবে সুনিদ্রা হয়।
২। যখন কোন লোক চা, দুধ, শরবত পান করতে উদ্যত হয় এখনও চুমুক দেয়নি ঠিক এ মূহুর্তে তার অগোচরে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩ বার পাঠ
করিয়া ফুঁ দিলে পানকারী ব্যক্তি তাকে কখনও ভুলতে পারিবেনা। উল্লেখ্য যে,অবৈধ প্রনয় ঘটানোর উদ্দেশ্যে করিলে পাপ হইবে। নিজের স্ত্রী, পুত্রদের ক্ষেত্রে করা যেতে পারে।
৩। প্রতিদিন সকালবেলায় ঘুম হইতে জাগ্রহ হইয়া এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭ বার পাঠ করিলে প্রত্যেক শ্রবণকারী লোক পাঠকের প্রতি মন আকৃষ্ট করিতে পারিবে।
(ইয়া ওয়াজেদু)
হে সৃষ্টিকারী!
১। খানা খাওয়ার সময় প্রত্যেক লোকমা গ্রহণ করা কালে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ মনোবল বৃদ্ধি হয়।
২। বিয়ের পর নববধুকে স্বামীর বাড়িতে বিদায় দেয়ার সময় মেয়ের নিকটাষ্মিয়ের মধ্যে কোন লোক মেয়ের শাড়ীর আঁচলের এককোণ ধরে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১ বার পাঠ করিয়া ফুঁ দিয়ে গিরা দিয়ে দিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল প্রকার আছর হতে মুক্ত থাকিবে এবং শ্বশুর বাড়ীর সকলের নিকট আদরণীয় হইবে।
(ইয়া মাজেদু)
হে গৌরবময়!
আল্লাহর পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতিদিন অধিক পরিমাণে পাঠ করিলে ঈমানের নূর বৃদ্ধি পাইবে এবং বিধর্মীদের উপর ইনশাআল্লাহ্ প্রভাব বিস্তার করতে পারিবে।
(ইয়া ওয়াহেদু)
হে অদ্বিতীয়!
১। একাকী পথ চলার সময়ে কোনরূপ ভয় হইলে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক সংখ্যকবার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ মনের ভয় দূর হইয়া যায়।
২। প্রতিমাসের প্রথম তারিখে আকাশে নতুন চাঁদ দেখার সাথে সাথে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩বার পাঠ করিয়া মুনাজাত করিয়া মুখে মুছে নিলে
ইনশাআল্লাহ হাত কখনও অর্থ শূন্য হবেনা।
৩। দুনিয়ার প্রতি একান্ত আকৃষ্ট ব্যক্তি প্রতিদিন নিয়মিত অর্থে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১০১১ বার পাঠ করিলে পাঠকারীর মন হতে ইনশাআল্লাহ দুনিয়ার মায়া দূর হইয়া যাইবে এবং পরকালের কল্যাণ লাভের প্রতি গভীর আগ্রহ জন্মিবে।
(ইয়া আহাদু)
হে একক!
১। একাকী অবস্থায় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১০১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ মনের সকল প্রকার ভয় দূর হইয়া যাইবে।
২। পবিত্র হাসীস শরীফে উল্লেখ আছে যে, বৃহস্পতিবার দিবাগত শেষ রাত্রে ঘুম হতে জাগ্রত হইয়া অত্যন্ত পাক-পবিত্র অবস্থায় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করতে থাকলে পাঠকের সঙ্গীয় ফিরিশতাগণও পাঠকের সাথে সাথে পাঠ করতে থাকে এবং ঐ ফিরিশতাগণের পাঠের ছাওয়াবও এ ব্যক্তির আমলনামায় লিখা হয় ।
৩। বৃহস্পতিবার দিবাগত শেষ রাত্রে ঘুম হইতে জানত হইয়া অযূ করিয়া পাক পবিত্র হইয়া, প্রথমে ১১বার ইস্তিগফার ও ১১ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করিয়া ১১১ বার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিবে এবং পুনরায় ১১ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে। ইনশাআল্লাহ এরূপ ‘আমলের ফলে ডুবহি ছানিকের পূর্বেই তার সকল গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করিয়া দেবেন। (হিঃহাসান)
(ইয়া ছামাদু)
হে স্বয়ং সম্পূর্ণ।
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক নিয়মিতভাবে ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ সত্যবাদী হওয়া যায় এবং শেষ রাত্রে ঘুম হতে জাগত হইয়া পাক পবিত্র অবস্থায় ১০১১ বার পাঠ করিলে সর্বদা ক্ষুধার কষ্ট হতে মুক্ত থাকা যায় ।
২। কাউকে টাকা-পয়সা হাওলাত দেয়ার সময় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭ বার পাঠ করিয়া সে টাকা-পয়সার উপর ফু দিলে ইনশাআল্লাহ্ সে ব্যক্তি সহজে টাকা পরিশোধ করবে।
৩। যাদের কেবলমাত্র কন্যা সন্তানই জন্ম হইয়া থাকে, কিন্তু তাদের পুত্র সন্তান লাভ করার একান্ত ইচ্ছা। এই ধরনের পুরুষ ও মহিলারা পৃথক পৃথক জায়নামাযে নামায আদায় করিয়া এক জায়নামাযে এসে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি [৩১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ তাদের পুত্র সন্তান লাভ হইবে।
(ইয়া ক্কাদেরু)
হে সর্বশক্তিমান!
১। শত্রু দমনের জন্য এই পবিত্র নামটি অত্যন্ত কার্যকরী। নিয়ম হল যে, অযূ করতে গিয়ে সমস্ত অঙ্গসমূহ ধৌত করার সময় এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ শত্রুরা দমন হইয়া যাইবে।
২। অত্যন্ত পাক-পবিত্রতার সাথে দু’রাকা’আত নফল নামায আদায় করিয়া ১১১ বার পাঠ করিলে কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি পাইবে এবং সকল মনের আশা পূর্ণ হবে।
(ইয়া মুক্কতাদেরু)
হে শক্তির আধার!
১। সকাল বেলায় ঘুম হতে জাগত হইয়া চক্ষু বন্ধ করিয়া এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১ বার পাঠ করিলে কার্য দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং পাঠকের মনের সকল প্রকার উদ্দেশ্য সফলতা লাভের নিমিত্তে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ৩৭৫ বার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে যেকোন সৎ উদ্দেশ্য ইনশাআল্লাহ সফল হবে।
২। শত্রু ও বদমেজাজী লোকদের চোখে চোখে তাকিয়ে এই পবিত্র গুণবাচক পাঠ করিতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ তাহাদের আক্রমণ হতে নিরাপদ থাকা যায়।
৩।রুক্ষ্ম স্বভাবের স্বামী ও মনিব এবং হাকীমের চেহারার দিকে তাকায়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ তারা সদয় হইয়া উঠিবে।
(ইয়া মুক্কাদ্দেমু)
হে অগ্রসরকারী!
১। কোন যুদ্ধ কিংবা কোনরূপ প্রতিযোগিতায় যাবার সময় এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১৯ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ জয়যুক্ত হওয়া যায় ।
২। কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ আরম্ভ করার পূর্বে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি কয়েক বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সফলতা অর্জন হয়।
(ইয়া মুয়াখখেরু)
হে পরিবর্তনকারী!
১। প্রতিদিন এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৮৭৮ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সর্ব প্রকার অসৎ কাজ হতে বিরত থাকা যায়।
২। দুশমন ও শত্রুকে দমন করার জন্য শনি-মঙ্গলবারে সূর্যাস্তের সময় তেমুখা রাস্তা হতে একটুকরা চাড়া এনে অবিবাহিত খুব নামাযী ব্যক্তির দ্বারা এ পবিত্র গুণবাচক নামটি লিখে ঐ রাত্রেই দুশমন ও শত্রুর বাড়ীতে মাটির নীচে পুঁতে দিলে ইনশাআল্লাহ তার শত্রুতা চিরদিনের জন্য বন্ধ হইয়া যাইবে ।
(ইয়া আউয়্যালু)
হে আদি ও সর্বপ্রথম !
প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর ৭৮ বার অথবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে ১০১১ বার এই পবিত্র গুণবাচক নামটি কোন প্রবাসী লোক পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ সহসা তার বাড়ীতে ফেরার পথ প্রশস্ত হইয়া যাইবে।
(ইয়া আখেরু)
হে অনন্ত, সর্বশেষ !
১। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ২১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ পাঠকারীর অন্তরে আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন চিন্তা থাকিবে না এবং পরকালে মুক্তিলাভের পথ প্রশস্ত হইবে।
২।কোন কাজ বারংবার চেষ্টা করার পরও সমাধা করিতে না পারিলে প্রতিদিন ভোরে ডুবহে ছাদিকের সময় খোলা আকাশের নীচে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ সহজেই সে কাজটি উদ্ধার করা যাইবে।
৩। যেসব লোকের মৃত্যু ঘনায়ে এসেছে বলে মনে হয় এবং জীবনে সে ব্যক্তি কোনরূপ ভালকাজ না করিয়া থাকে তাহলে সে ব্যক্তি সর্বদা অধিক পরিমাণে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ শুভফল লাভ করিবে।
(ইয়া যাহেরু)
হে প্রকাশ্য !
১। প্রতিদিন “ইশার নামাযের পর এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১০১১ বার পাঠ করিলে মনের মধ্যে ঈমানের নূর বাড়তে থাকবে এবং মনের বাসনাসমূহ ইনশাআল্লাহ্ পূর্ণ হবে। এ ছাড়া চোখের জ্যোতিও বৃদ্ধি পাবে।
২। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে সূর্যোদয়কালীন সময়ে ১১১ বার পূর্ণিমার রাতে ১১১ বার ও প্রতি শুক্রবার দিন মসজিদে প্রবেশ করার সময় প্রথম পা দিয়ে ১১১ বার হিসেবে পাঠ করার অভ্যাস করিলে তার মনে ঈমানের নূর উদয় হবে এবং তার চতুর্দিকে আল্লাহ্ বিরাজমান বলে মনে হবে।
(ইয়া বাত্বেনু)
হে অপ্রকাশ্য।
১। প্রতিদিন ইশরাকের নামাযের পর এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১০৩৩ বার পাঠ করিলে মহান আল্লাহর কুদরতের রহস্য এবং মানব জীবনের গুঢ়তত্ত্ব অবগত হবে।
২। পূর্বাকাশে সূর্য লাল হইয়া উঠার সময় সূর্যের দিকে মুখ করিয়া শাহাদাত আঙ্গুলি দিয়ে ইশারা করিয়া এ পবিত্র গুণবাচক নামটি উচ্চারণ করবে এবং সূর্য উঠে গেলে পশ্চিমমুখী হইয়া আকাশের দিকে তাকিয়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করবে এবং দু’আ মুনাজাত করিয়া বলবে হে আল্লাহ্। আমার শত্রুদের মুখোশ খুলে দিন এবং আমাকে তাহাদের পরিচয় দিন। ইনশআল্লাহ্ এরূপ আমলের ফলে শুভ ফল পাবে।
৩। রাত কানায় ধরিলে কিংবা অন্ধকারে পথহারা হইলে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ পথের দিশা পাইবে।
(ইয়া মুতা’আলী)
হে মহা উন্নত, মহান অধিপতি!
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক ৫৮৫ বার পাঠ করিলে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে।
২। মহিলাদের হায়েজের সময় কষ্ট পেলে ঐ সময় মহিলারা অসংখ্যবার এ পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করিলে ইনশাআল্লাহ্ স্রাবের কষ্ট দূর হবে।
৩। এক টুকরা কাগজকে তিন কোণা বিশিষ্ট করিয়া কেটে প্রতিকোণে ৩ বার করিয়া ৯ বার লিখে লোহার তাবিজে রেখে ঘরের টুয়ার সাথে লটকায়ে রাখলে ইনশাআল্লাহ্ চোরের উপদ্রব হতে রক্ষা পাবে।
৪। অধিক পরিমাণে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ সকল মানুষের নিকট প্রিয় পাত্র হতে সক্ষম হবে।
(ইয়া বাররু)
হে মঙ্গলময়, শান্তিদাতা!
১। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের উপর নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৭ বার পাঠ করিয়া ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ্ তারা নিরাপদে থাকবে এবং নেককার হইবে ।
২। এছাড়া অকালে যাদের সন্তান মারা যায় তাদের সন্তানের শরীরে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক নিয়মিতভাবে কয়েকবার পাঠ করিয়া ফুঁ দিবে এবং আল্লাহর করুণার উপর সমর্পণ করিবে ইনশাআল্লাহ্ তাতে অনেক উপকৃত হইতে পারিবে।
(ইয়া তাউয়্যাবু)
হে তাওবাহ্ কবুলকারী!
১। প্রতিদিন চাশতের নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ৩৬৫ বার পাঠ করিলে তাওবাহ করার সৌভাগ্য অর্জন করা যায়।
২। এ ছাড়া কোন অত্যাচারী জালেমকে মনে মনে ধারণা করিয়া এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দশবার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ তাহার অত্যাচার হইতে রক্ষা পাওয়া যাইবে।
(ইয়া মুন’য়েমু)
হে নি’আমাত দানকারী, সম্পদ দানকারী!
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতিদিন অন্ততঃ ২৩৩ বার পাঠ করিলে অধিক পরিমাণে ধন-সম্পদ লাভ করা যায় এবং সুখে-শান্তিতে জীবন অতিবাহিত করা যায়।
(ইয়া মুন্তাক্কেমু)
হে প্রতিশোধ গ্রহণকারী!
১। সর্বদা অধিক পরিমাণে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিতে থাকিলে শত্রুদের প্রতিশোধ গ্রহণ করা যায়।
২। কারও শত্রুতা সহ্যের বাইরে গেলে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অত্যন্ত পাক পবিত্রতার সাথে ৬৬৬ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ শত্রু বশীভূত হবে।
৩। এ ছাড়া কোন শত্রুর প্রতিশোধ গ্রহণ করার ইচ্ছা করিলে শনিবার রাত্র হতে আরম্ভ করিয়া দৈনিক ৬৬৬ বার করিয়া পাঠ করবে আর মনে মনে শত্রুর প্রতি কাম্য শান্তির কথা ভেবে মহান আল্লাহ্র দরবারে মুনাজাত করবে ইনশাআল্লাহ্ অবশ্যই প্রতিশোধ গ্রহণের ফলাফল দেখতে পাবে।
(ইয়া ‘আফুয়্যু)
হে ক্ষমা প্রদর্শনকারী!
গুনাহগার ব্যক্তি নিরাশ হইয়া পড়লে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক অসংখ্যবার পাঠ করিলে মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন করিয়া গুনাহ মাফ হবার সৌভাগ্য অর্জন হয় ।
(ইয়া রাউফু)
হে অকৃত্রিম বন্ধু!
১। ক্রোধ বা রাগ দমনের জন্য এই নামের গুণাগুণ অনেক। নিজের অথবা অন্য কারও ক্রোধ দমন করতে হলে ১০০ বার দুরূদ শরীফ ও ১১ বার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিয়া শরীরে ফুঁ দিলে ইনশাআল্লাহ ক্রোধ দমন হইয়া যায়।
২। কোন স্বামী যদি স্ত্রীর অবাধ্য হইয়া থাকে তাহলে স্বামীকে খাবার পরিবেশন করার সময় স্ত্রী এই পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিতে করিতে স্বামীকে পাখা করতে থাকিলে ইনশাআল্লাহ স্বামী তাহার স্ত্রীকে অত্যন্ত ভালবাসিবে। একদিনে না হইলে নিয়মিতভাবে এইরূপ আমল করিতে থাকিবে। ইনশাআল্লাহ অবশ্যই শুভ ফল প্রাপ্ত হইবে ।
৩। ডাক্তারের চিকিৎসায় নিরাশ ব্যক্তির শিয়রে বসে এ পবিত্র নামটি ১১১১ বার পাঠ করিলে (হায়াত থাকলে) ইনশাআল্লাহ রোগী সুস্থ হইয়া উঠিবে।
(ইয়া মালিকাল মুলকে)
হে বিশ্বপতি!
আল্লাহ্ তা’আলার পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রত্যেক নামাযের পর ২২১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ ধন-দৌলত বৃদ্ধি পায়। অবস্থা স্বচ্ছ্বল হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে রাজকীয় সম্মানও লাভ করা যায়।
(ইয়া যুলজালালে ওয়াল ইকরাম)
হে মর্যাদাশালী ও মহিমাময়!
এ পবিত্র গুণবাচক নামের ফজীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীস শরীফে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করিয়াছেন যে-প্রত্যেক মুসল মানেরই উচিত, সর্বদা অধিক পরিমাণে এ নামের যিকির করা। বুযুর্গ ব্যক্তিগণ এবং আউলিয়ায়ে কিরামগণের ধারণা যে, এ পবিত্র গুণবাচক নামসমূহই মহান আল্লাহ্ তা’আলার ইসমে আযম।
(ইয়া রাব্বু)
হে প্রতিপালক!
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক কমপক্ষে ২২৫ পাঠ করিলে জীবনে কখনও খাদ্যকষ্টে পড়বে না।
২। কোনরূপ ঝগড়া-বিবাদ দূর করতে হলে প্রতিদিন ঘরের চার কোণে দাঁড়ায়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার পাঠ করিলে অনেক শুভ ফলাফল
লাভ করা যায়।
(ইয়া মুক্কসিতু)
হে ন্যায়পরায়ণ !
১। সব সময় এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে যিকির করিলে “ইবাদাত-বন্দেগীতে কোন প্রকার অলসতা বা সন্দেহের সৃষ্টি হবে না এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে মুক্ত থাকা যায়।
২। অত্যাচারীর অত্যাচার হইতে মুক্তি লাভের নিমিত্তে শনি-মঙ্গলবার সূর্যাস্তের সময় সূর্যের দিকে নজর করিয়া এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করতে
থাকবে এভাবে সূর্য ডুবে গেলে কারও সাথে কথা না বলে ঘরে ফিরে আসিবে ইনশাআল্লাহ সে অত্যাচারী ব্যক্তি ক্ষমা প্রার্থনা করিবে।
(ইয়া জামে ‘উ)
হে একত্রকারী!
১। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৪৫ বার পাঠ করিতে থাকিলে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে কখনও বিবাদ বা বিচ্ছেদ হবে না। কারও কোন কিছু হারায়ে গেলে অধিক পরিমাণে এই পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ সে মাল ফেরৎ বা মালের সন্ধান পাওয়া যাইবে ।
২। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক অসংখ্যবার পাঠ করিলে সর্বদা হাতে টাকা-পয়সা স্থায়ী হয়। হারানো দ্রব্য ফিরে পাওয়া যায়।
(ইয়া গানীয়্যু)
হে সম্পদশালী ।
১। আল্লাহ্ তা’আলার পবিত্র গুণবাচক নামটি যে কোন রোগ-শোক এবং বিপদাপদ ও বালা-মুছীবাতের সময় দৈনিক ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ এ সব কিছু হতে মুক্তিলাভ করা যায়।
২ । এই পবিত্র গুণবাচক নামটি নিয়মিতভাবে পাঠ করিলে অন্তরে নূর পয়দা হয়। অভাব-অনটন দূর হয় এবং মনের সকল প্রকার আশা পূর্ণ হয়।
(ইয়া মুগনীয়্যু)
হে সম্পদ দানকারী ও অভাব মোচনকারী!
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক ১১৩১ বার পাঠ করিলে ধন-সম্পদ পাবে এবং ১০১১ বার পাঠ করিলে দারিদ্রতা দূর হয়।
২। ‘বাকিয়াতুছ ছালেহাত’ নামক গ্রন্থে এরূপ বর্ণিত আছে যে ব্যক্তি প্রত্যেক বারে পাঠ আরম্ভ করার শুরুতে ও শেষে ১১ বার করিয়া দুরূদ শরীফ পাঠ করিয়া এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৩৬ বার পাঠ করবে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের কোনরূপ অভাব-অনটন থাকবে না এবং পাঠকারী ব্যক্তি সকল ঋণের বোঝা পরিশোধ করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারিবে।
৩। স্ত্রী সহবাসের পূর্বে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি মনে মনে ২১১ বার পাঠ করিলে স্ত্রীর অকৃত্রিম ভালবাসা লাভ করতে সক্ষম হবে।
(ইয়া মু‘অত্বীয়্যু)
হে দাতা !
যে ব্যক্তি কোন আশা করিয়া তা পূরণ হয় না এরূপ ব্যক্তি নিয়মিতভাবে সকালে বিকালে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার যিকির করিলে ইনশাআল্লাহ্ তাহার সকল আশা পূরণ হইবে এবং পাঠক ব্যক্তি কখনও অন্যের মুখাপেক্ষী হইতে হইবে না।
(ইয়া মানে ‘উ )
হে নিষেধকারী, নিবারক !
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রতিদিন সকাল ও বিকাল বেলায় ১৯৩ বার পাঠ করিলে সহজেই মনের নেক বাসনা পূর্ণ হবে।
২। প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১ বার,ইস্তিগফার ১১ বার, দুরূদ শরীফ ১১ বার, (আ’উযুবিল্লাহিস্ সামী’য়িল ‘আলীমে
মিনাশ শাইত্বানের রাজীম) ৭০ বার এবং ১১১১ বার (হাসবিআল্লাহু) পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ কোন সৃষ্ট জীবই তার কোন ক্ষতি এমনকি শয়তানও তাকে ধোকা দিতে পারে না।
(ইয়া দ্বাররব)
হে বিপদ দানকারী ।
এ পবিত্র গুণবাচক নামটি প্রত্যেক বৃহস্পতিবার রাত্রে একাগ্রতার সাথে ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ সকল প্রকার বিপদ হতে নিরাপদে থাকা যায়।
(ইয়া নাফে’উ )
হে সুফলদানকারী !
১। নৌকা, জাহাজ তথা নদীপথে ভ্রমণের সময়ে ঝড়-তুফান দেখা দিলে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি উচ্চস্বরে পাঠ করতে থাকিলে ইনশাআল্লাহ্ ঝড়-তুফানের ক্ষতি হতে নিরাপদে থাকিবে।
২। চীনামাটির বাসনে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি মেশক জাফরানের কালি দিয়ে ১১১ বার লিখে সে প্লেট ধোয়া পানি দোকানের মালের মধ্যে ছিটায়ে দিলে ইনশাআল্লাহ হালাল ব্যবসায়ের মাল হলে প্রচুর লাভবান হইবে।
৩। যে কোন শুভ কাজ আরম্ভ করার পূর্বে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অত্যন্ত মনোযোগের সাথে ১৩১ বার পাঠ করিয়া কাজ আরম্ভ করবে এবং অধিক সংখ্যক বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ যতই পাঠ করবে ততই লাভবান হতে পারিবে।
(ইয়া নূরু)
হে আলোক (জ্যোতিৰ্ময়) !
প্রত্যেক ফরয নামাযের পর এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১৫১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাইবে এবং অন্তকরণ নূরাণী হইয়া থাকে।
(ইয়া হাদীয়্যু)
হে সৎপথ প্রদর্শক !
১। প্রতিদিন নিয়মিভাবে এই নাম পাঠ করিলে ইলমে লাদুন্নীতে মন ভরে উঠে এবং গুনাহসমূহ মোচন হইয়া যায়।
২। প্রত্যহ তাহাজ্জুদ নামাযের পর নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ অলী আল্লাহ তা’আলা মর্যাদা লাভ করা যায়।
৩।এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অধিক পরিমাণে পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ যাবতীয় ভুল-ভ্রান্তি হতে মুক্ত থাকা যায়। জ্ঞান ও বিবেক বুদ্ধি বাড়ে। হাকিম, বিচারক, উকিল, মুক্তার, ডাক্তার, ব্যবসায়ীগণ সর্বদা অসংখ্যবার এ নামের যিকির করিলে বিশেষ ফল লাভ হয়।
(ইয়া বাদী ‘উ)
হে বিনা অনুকরণে সৃষ্টিকর্তা !
১। কোনরূপ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এবং দুঃখ-কষ্ট নিবারণের উদ্দেশ্যে অত্যন্ত পাক-পবিত্র অবস্থায় একাগ্রতার সাথে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি ১,১১১ হার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ সুফল লাভ করিবে।
২। সন্তানহীন ব্যক্তিরা স্বামী-স্ত্রী উভয়ে মিলে দিনে রোযা রেখে রাত্রে নামাযের পর নিয়মিতভাবে ১১১ বার এই পবিত্র গুণবাচক নামের যিকির করিলে ইনশাআল্লাহ সন্তান-সন্ততি লাভ হইবে ।
৩। বেকার যুবকরা প্রত্যহ নিয়মিতভাবে এই পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ তাদের উপার্জনের পথ সুগম হইবে।
(ইয়া বাক্কীয়্যু)
হে অনন্ত !
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি নিয়মিতভাবে ১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট ও বিপদ-আপদ দূর হইয়া যায়।
২। মাগরিবের নামাযের পর পশ্চিমাকাশের লাল রং যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ ইয়া পর্যন্ত এ পবিত্র গুণবাচক নামটির যিকির করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ সে ব্যক্তি কখনও অর্থশূন্য হবে না।
(ইয়া ওয়ারেছু)
হে স্বত্বাধিকারী
১। মাগরিব ও ইশার নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ যাবতীয় ভয় ও দুঃখ কষ্ট দূর হয়।
২। কারও সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করিয়া ফেললে সে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ তার সম্পত্তি পুনরায় ফিরে পাবে।
(ইয়া রাশীদু)
হে সৎপথ প্রদর্শক ।
১। মাগরিব ও ইশার নামাযের মধ্যবর্তী সময়ে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি ১,১১১ বার পাঠ করিলে পাঠকের সকল ‘ইবাদাত-বন্দেগী ও আমলসমূহ ইনশাআল্লাহ কবুল হবে।
২। বেনামাযী ছেলে-মেয়েরা দৈনিক যতবারই মা-বাবার চোখের তাকাবে ততবারই মা-বাবা ছেলে-মেয়েদের চোখের দিকে তাকায়ে এ পর গুণবাচক নামটি পাঠ কিরবেন। এর ফজীলতে ইনশাআল্লাহ্ তারা নামাযী হইয় উঠিবে ।
৩। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে তাওবার নিয়্যতে ১১ বার দুরূদ শরীফ পাই করিয়া অসংখ্যবার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি পাঠ করিয়া পুনরায় দুরূদ শরীফ পাঠ করিয়া দু’আ মুনাজাত করিলে ইনশাআল্লাহ্ সে ব্যক্তির মনের যাবতীয় কু-ভাবনা দূর হইয়া নেক কাজের প্রতি আগ্রহ জন্মিবে।
(ইয়া ছাবুরু)
হে ধৈর্যশীল !
১। এ পবিত্র নামটি প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সময় ১১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট দূর হয় এবং ধৈর্যশক্তি বাড়ে।
২। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পাঠকারী ব্যক্তি ইনশাআল্লাহ্ খুব তাড়াতাড়ি বিনয়ী, সংযমী, সদালাপী, মধুরভাষী ও ধনবান হইয়া উঠিবে।
(ইয়া ছাদেক্কু)
হে সত্যবাদী !
১। এ পবিত্র গুণবাচক নামটি দৈনিক ২৬৬ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লা ঈমানী শক্তি দৃঢ় হবে এবং মনের দুর্বলতা দূর হইয়া সাহস ও শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
২। ধূর্ত-মুনাফিক লোকদের চক্রান্তে পড়ে যেসব লোক দিশেহারা হই পড়েছেন প্রতিদিন নিয়মিতভাবে তারা এ পবিত্র গুণবাচক নামটি অসংখ্যবার পর করিলে ইনশাআল্লাহ সকল প্রকার চক্রান্তের বেড়াজাল হতে মুক্তি লাভ করতে সক্ষম হবে।
(ইয়া সাত্তারু)
হে দোষ গোপনকারী!
এ পবিত্র নামটি দৈনিক ১১১১ বার পাঠ করিলে ইনশাআল্লাহ্ পাঠকের যাবতীয় দোষ-ত্রুটি মহান আল্লাহ তা আলা মানুষের নিকট গোপন রাখেন এবং পাঠকের মান-ইজ্জত সর্বদা বজায় থাকিবে ।