Education

Mother Teresa essay in Bengali – মাদার টেরেসা রচনা

Mother Teresa essay in Bengali

মাদার টেরেসা অথবা অনেকে মাদার টেরিজা – Mother Teresa হলো সেবা ও প্রেম দিয়ে পৃথিবীতে উদাহরণ তৈরি করা এক মহষী নারীর উদাহরণ। যুগে যুগে এই পৃথিবীতে যাঁরা অসহায় মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা নিয়ে তাদেরকে সেবার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁরা কখনও কোনোদিন দেশ ও কালের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকেননি; মানুষের দ্বারা সৃষ্টি কৃত্রিম ভৌগলিক গন্ডিকে মেনে নেননি তাঁরা। তাদের কাছে পৃথিবীর মধ্যে থাকা প্রায় সকল দেশের সব মানুষ সমান ও আপন।  আরে এমনি একজন অসাধারণ প্রেমময়ী ও সেবাদানকারী মানুষ হলেন জননী টেরিসা। আজকের আর্টিকেল অর্থাৎ Mother Teresa essay in Bengali বা মাদার টেরেসা রচনায় আমরা মাদার টেরেসা সম্পর্কে সংক্ষিপ্তে তাঁর সম্পর্কে সামগ্রিকভাবে জানার চেষ্টা করবো। ( সকল ধরনের Bangla Paragraph সহ আবেদনপত্র লিখার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হোন )

মাদার টেরিজার ১৯১০ খ্রিস্টাব্দের ২৭ আগস্ট যুগাশ্লোভিয়ার স্কোপেজ শহরে এক নিম্নভিত্ত কৃষক পরিবারে জন্ম হয় ৷ সাধারণত গৃহজীবনে মাদার টেরিজার নাম ছিল অ্যগনেস গোনেকস বেজাক্সি হিউ ৷ অবাক করার বিষয় হলো মানব সেবার আদর্শে সন্ন্যাসিনীর জীবন বেছে নিয়ে মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি ডাবলিন থেকে কলকাতায় চলে  আসেন I মানব সেবায় তিনি সেবিকার ব্রত গ্রহণ করে হয়ে ওঠেন বিশ্বজননী I যখনি তিনি কলকাতায় চলে আসেন, তখন তিনি কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘নির্মল হৃদয় ’ এবং ‘শিশুভবন । পরে তিনি ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন ৷ পরোক্ষণে মাদার টেরিজাকে ভারত সরকার ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে তাকে ‘পদ্মশ্ৰী’ উপাধিতে ভূষিত করেন I এরপর ধারাবাহিকভাবে তিনি ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে নোবেল পুরস্কারও পান I ধারাবাহিক ক্রমান্বিত পদবী অনুসারে  ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ‘ভারতরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় । পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ৫সেপ্টেম্বর ৮৭ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷ কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া  প্রতিষ্ঠিত ‘মিশনারিজ অব চ্যারিট “ প্রতিষ্ঠানটি আজও সেবার ভাবধারা নিয়ে এগিয়ে চলেছে এবং তাঁর মানবসেবার স্মৃতি বয়ে নিচ্ছে। যাইহোক, এখানেই সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়ে গেল মাদার তেরাসা সম্পর্কে। চলুন এবার আমরা রচনা আকৃতির মাধ্যমে মাদার টেরেসা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ডিটেইলস জানি। ( পরিবেশ দূষণ রচনা সম্পর্কে জানুন )

মানব সেবায় এক অনন্য উদাহরণের স্মৃতিচিহ্ন রেখে গেছেন মাদার তেরেসা। আর তারই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ এশিয়া সহ পৃথিবীর প্রায় সবগুলো দেশে মাদার টেরেসাকে নিয়ে পাঠ্য বইয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে। সে দিক থেকে আমাদের ভারতবর্ষ সহ বাংলাদেশেও বাদ যায় নি। আমাদের শ্রেণিকক্ষ বা ফাইনাল পরীক্ষা সহ প্রায় সকল ধরনে জবের পরীক্ষায়ও Job exam মাদার টেরেসা রচনাটি এসে থাকে। যে কারণে আমাদের শিক্ষার্থী সহ প্রায় সব লেভেলের বা স্তরের মানুষদের উচিত মাদার টেরেসা সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা রাখা। যেমন আজকে আমরা মাদার টেরেসা রচনাটি – Mother Teresa Paragraph টি শিখবো ও পড়বো। রচনটি শুরু করার পূর্বে চলুন জানা যাক, আজকের রচনাটিতে কি কি হেডিং অথবা সাব হেডিং থাকবে।

  • ভূমিকা
  • জন্ম ও বাল্য জীবন
  • কর্মজীবন
  • সেবায় নিজেকে নিয়োগ
  • সেবা কার্যের পুরস্কার
  • আদর্শ
  • উপসংহার

মূলত উপরের বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করেই আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিকে সাজিয়েছি। সুতরাং চলুন তাহলে বিলম্ব না করে আমরা মূল আলোচনায় অর্থাৎ মাদার টেরেসা রচনাটি – Mother Teresa Paragraph টি শুরু করি।

মাদার টেরেসা – Mother Teresa

মাদার টেরেসা – Mother Teresa

ভূমিকা: সেবা ও প্রেম দিয়ে পৃথিবীতে উদাহরণ তৈরি করা এক মহষী নারীর উদাহরণ হলো মাদার টেরেসা। যুগে যুগে তিনি এই পৃথিবীতে যাঁরা অসহায় মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা নিয়ে তাদেরকে সেবার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁরা কখনও কোনোদিন দেশ ও কালের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকেননি; মানুষের দ্বারা সৃষ্টি কৃত্রিম ভৌগলিক গন্ডিকে মেনে নেননি তাঁরা। তাদের কাছে পৃথিবীর মধ্যে থাকা প্রায় সকল দেশের সব মানুষ সমান ও আপন।  আরে এমনি একজন অসাধারণ প্রেমময়ী ও সেবাদানকারী মানুষ হলেন জননী টেরিসা।

জন্ম ও বাল্য জীবন

মাদার টেরিজার ১৯১০ খ্রিস্টাব্দের ২৭ আগস্ট যুগাশ্লোভিয়ার স্কোপেজ শহরে এক নিম্নভিত্ত কৃষক পরিবারে জন্ম হয় ৷ সাধারণত গৃহজীবনে মাদার টেরিজার নাম ছিল অ্যগনেস গোনেকস বেজাক্সি হিউ ৷ বাল্যকালে পড়াশুনা শুরু হয় একটি সরকারি বিদ্যালয়ে। স্কুলের পড়া-শুনা যেমন তার ভালোলাগত তেমনি ভালোলাগত সেবামূলক কাজ। স্কুলের শিক্ষিকার নিকট হতে জানতে পারেন যে সেবামলক কাজ করবার জন্য পথিবীতে বেশ কয়টি সংগঠন আছে। অ্যাগনেস মনে মনে স্থির করেন যে এ সব সংগঠনে যোগ দান করবেন। অবাক করার বিষয় হলো মানব সেবার আদর্শে সন্ন্যাসিনীর জীবন বেছে নিয়ে মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি ডাবলিন থেকে কলকাতায় চলে  আসেন I মানব সেবায় তিনি সেবিকার ব্রত গ্রহণ করে হয়ে ওঠেন বিশ্বজননী I

কর্মজীবন

তিনি যখন মিশনারির ব্রত নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে এবং ব্রত নেয় তখন তার নাম রাখা হয় টেরেসা। এরপর তিনি ভারতবর্ষের কথা শোনতে পায় এবং ক্রমান্বয়ে ভারতবর্ষের প্রতি তিনি প্রচুর পরিমাণে আকৃষ্ট হয়। যে বিধায় তিনি পরোক্ষণে ভারত বর্ষে চলে আসে। ১৯৩১খ্রিস্টাব্দের ২৪ মে মাদার টেরিসা সন্ন্যাসিনী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এই সময় তিনি ধর্মপ্রচারকদের পৃষ্ঠপোষক সন্ত Therese de Lisieux – এর নামানুসারে টেরিজা নাম গ্রহণ করেন। এইসময় তিনি পড়ানো ছেড়ে সেবার কাজে যুক্ত হতে চাইলেন কিন্তু পোপের অনুমতি পেলেন না। যখন তিনি ভারতবর্ষের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ভারতবর্ষে পা রাখেন, তখন তিনি প্রথমে মার্গারেট স্কুলে শিক্ষকতা, ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচালনা ও পরে অধ্যক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই শিক্ষকতার ফাকে বস্তির দুঃস্থ অসহায় মানুষের সেবা করতেন এবং তাদের প্রতি যত্ন নিতেন।

সেবায় নিজেকে নিয়োগ

মহষী মাদার টেরিজার জীবনের মোট আঠারো বছর শিক্ষকতার কাজের মধ্যেই চলে যায়। তখন তার আর চার দেওয়ালের মধ্যে শিক্ষকতার কাজ ভালো লাগছিলনা তাঁর। যে বিধায় স্বাধীনতার এক বছর আগে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতাই শুরু হয় হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা। ঠিক এই সময় তিনি সরাসরি আত্মনিয়োগ করেন দাঙ্গা বিধ্বস্ত মানুষের সেবার কাজে। মাদার টেরিজা ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটিজ’ প্রতিষ্ঠা। করেন। এরপর তাঁর শুভ প্রচেষ্টায় কলকাতার কালীঘাটে গড়ে উঠে মরণাপন্নদের জন্য আতুর ভবন নির্মল হৃদয়’। এবার তিনি ক্রমান্বয়ে সাদেপুরে ‘প্রেমনিবাস’, ‘নির্মলা কেনেডি কেন্দ্রের মতাে অগণিত প্রতিষ্ঠান দুঃস্থ, আতুর অসহায় মানুষের জন্য মাদার গড়ে তুলেন। ভারতের গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে আছে মাদাদের অসংখ্য অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গুলি। ভারতে মাদার টেরিজার পরিচালিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা হলো  ৬৫, দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র দুই শতাধিক, কুষ্ঠ চিকিৎসাকেন্দ্র ৫৫টি। এছাড়াও ভারতের বাইরেও তার অসংখ্য সেবা প্রতিষ্ঠান ছড়িয়ে আছে। ভারত স্বাধীনতার পর ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে গ্রহণ করলেন ভারতীয় নারির পোষাক। নীল পাড় সাদা সুতির শাড়ি। এরপর মাত্র ১২ জন সদস্য নিয়ে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৭ ই অক্টোবর প‘মিশনারিজ অব চ্যারিট’ প্রতিষ্ঠা করেন। যার শাখা বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী সমস্ত দেশে ছড়িয়ে আছে।

সেবা কার্যের পুরস্কার

মাদার টেরিজা ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন ৷ পরোক্ষণে মাদার টেরিজাকে ভারত সরকার ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে তাকে ‘পদ্মশ্ৰী’ উপাধিতে ভূষিত করেন I এরপর ধারাবাহিকভাবে তিনি ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে নোবেল পুরস্কারও পান I ধারাবাহিক ক্রমান্বিত পদবী অনুসারে  ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ‘ভারতরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় ।

আদর্শ

মানব সেবা ও প্রেমের মাধ্যমে কিভাবে মানুষের মন জয় সহ মানুষকে উপকার করা যায়, সে দিকটি মাদার টেরিজা স্পষ্টভাবে দেখিয়েছেন। আত্ম প্রচার বিমুখ মাদার টেরেসা অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশবাসীর কাছে সেবার এক নতুন আদর্শ গড়ে তুলেছিলেন। শুধু মাত্র সেবা নয় তার সঙ্গে আন্তরিক ভালবাসায় মানুষকে কাছে টেনে এনেছেন। বাণী বা উপদেশ নয়, যে কোন অবস্থায় আর্তের পাশে দাড়িয়ে সেবা ও ভালবাসাই ছিল তার জীবনাদর্শ। এভাবেই তিনি তাঁর আদর্শকে সবার নিকট তুলে ধরেছেন।

উপসংহার

মাদার টেরিজা হলেন এক অনন্য ও উদারশীলতার উদাহরণ। কিভাবে একজন মহিলা হয়ে তিনি পৃথিবীর সমস্ত মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন, এ বিষয়ে জানতে তাঁর পুরো জীবন সম্পর্কে জানতে হবে। মাদার টেরিজা আমাদের কাছে ( এখানে শুধু বাঙ্গালি নয়, বরং পৃথিবীর সবার নিকট) শুধু মাত্র শ্রদ্ধার পাত্রী নন , তিনি হলেন আমাদের কাছে এক বিস্ময় ও উদাহরণ। পুরো পৃথিবী যখন নিজের স্বার্থের কথা ভাবতে ব্যাস্ত তখন একজন মাদার তেরাসা তাঁর প্রেম ও সেবা দিয়ে জননী রুপে তিনি মানবতার বাণীকে উর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। যদিও তিনি ছিলেন খ্রিষ্ট্রান সম্প্রাদায়ের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু বর্তমানে প্রচলিতদের ন্যায় তিনি ছিলেন না। যিশু খ্রিস্টের উপর গভীর বিশ্বাস থাকলেও সকল ধর্মের মানুষের জন্য তাঁর সমান ভালোবাসা ও অপরিসীম মমতা,সহানুভূতি ছিল। নিজের জীবন দিয়ে তিনি মানবতার বাণীকে উর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। মাদার টেরিসার সেবাদর্শ ও মানব প্রীতি সর্বকালের মানুষকে প্রেরণা ও শক্তি যোগায়। মাদার টেরেসা মানুষের মনিকোঠায় প্রার্থনার জায়গা সর্বদা থাকবেন সকলের।

উপরের উল্লেখিত অংশটুকুই হলো মাদার তেরেসার রচনা অর্থা Mother Teresa Paragraph in Bengali. আশা করি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ভিন্ন স্তরের মানুষেরাও আজকের আর্টিকেলটি দ্ধারা বেশ ভালোভাবে উপকৃত হয়েছেন।

Mother Teresa Paragraph – মাদার টেরেসা রচনা নিয়ে শেষ কথা

Mother Teresa Paragraph মাদার টেরেসা রচনা নিয়ে শেষ কথা

যেহেতু আজকের আর্টিকেলটি বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে টার্গেট করেই তৈরি করা, সুতরাং আশা করা যায় যে, যদি কোনো শিক্ষার্থী উক্ত আজকের আর্টিকেলটি তথা মাদার টেরিজা রচনাটি পড়ে থাকেন, তাহলে বেশ চমৎকার ভাবে উপকৃত হয়েছেন বিভিন্ন অজানা তথ্য জেনে তাঁর সম্পর্কে। এখানে ইনডেপ্ত আলোচনা করা কোনো ভাবেই সম্ভ নয়, যে বিধায় সংক্ষিপ্তে মাদার তেরেসা – mother Teresa Bangla paragraph নিয়ে বিস্তরভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তবে রচনার দৈর্ঘ্য অনুযায়ী, আজকের আর্টিকেলটি প্রাথমিক শ্রেণী হতে জেএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য হলো বেস্ট ও ‍উপযোগী। তাই যদি এমন কেউ আজকের আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন, যার আত্মীয় বা পরিবারের কেউ উক্ত ক্লাসের আন্ডারে রয়েছে, তাহলে তাকে উক্ত রচনাটি রেফার করতে পারেন। আশা করি সেও আজকের রচনাটি অর্থাৎ Mother Teresa Paragraph Bengali মাদার টেরিজা রচনা টি পড়ে বেশ ভালোভাবে উপকৃত হতে পারবে।

Mother Teresa Paragraph – মাদার টেরেসা রচনা সম্পর্কে জানতে

Sadia Afroz Niloy

Hey! I am Sadia Afroz Niloy! A student and passionate writer. I love to write blog and connect people Realtime. Send business proposal at [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button