Health

হার্টের ব্লক দূর করার উপায় ২০২২ | হার্টের সমস্যা ও প্রতিকার

হার্টের ব্লক দূর করার উপায়

হার্টের সমস্যা একটি অতি পরিচিত রোগ বা অসুখ। কারো বা হার্ট ব্লক অথবা কারো হার্ট দূর্বল। এমতোবস্থায় কেউ খুঁজে বেড়ায় হার্টের ব্লক দূর করার উপায় আবার কেউ চায় হার্টের দূর্বলতা কাটাতে। মানব দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য একটি অঙ্গ হলো হৃৎপিন্ড বা হার্ট। হৃদপিন্ডের করোনারি ধমনি সংকোচিত হওয়ার মাধ্যমেই হৃদপিন্ডে বা হার্টে ব্লক হয়। বর্তমানে হার্টের ব্লক দূর করার জন্য চিকিৎসা খাতে অনেক রকমের উপায় রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে হার্ট ব্লককে করোনারি আর্টারি ডিজিজ বলে। যখনিই হার্ট তার পরিমাণমতো রক্ত সঞ্চালন করতে পারবে না সম্পূর্ণ দেহে, তখনই হার্ট ব্লক নামে রোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে ধরা হয়। আবার একই ভাবে ধমনী বা হৃদপিন্ড যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ শ্বাস –নিশ্বাস না নেয়, এবং অল্পতেই হাপিয়ে উঠে, তাহলে তার হার্ট দূর্বল বলে ধরে নেওয়া হয়। ( নাকের পলিপাস খুব সজেই দূর করুণ এবং কিডনি সুস্থ্য রাখার সবগুলো উপায় সম্পর্কে জানুন )

হার্টের সমস্যা

হার্টের সমস্যা

সাধারণত হার্টের সমস্যা বলতে আমরা দুই ধরনের সমস্যাকেই বুঝি। একটি হলো হার্ট ব্লক এবং অন্যটি হলো হার্টের দূর্বলতা। ( ঘাড়ে ব্যথা দূর করুণ খুব সজেই )

হার্টের এই ২ ধরনের সমস্যার কারনেই সাধারণত মানুষগণ হার্ট ডাক্তারদের শরাপন্ন হয়। তবে হার্টের আরো অনেক সমস্যা আছে। আলোচনার সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলে হার্টের এই ২ ধরনের সমস্যা এবং চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

হার্ট ব্লক কাকে বলে বা হার্ট অ্যাটাক কেন হয়?

হার্ট ব্লক হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো রক্তে মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল ও ফ্যাটির কারণে। কোলেস্টেরল ও ফ্যাটির কারণে হৃৎপিন্ডের ধমনীতে প্লাকের সৃষ্টি হয়। এই প্লাক ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে এবং ধমনী ক্রমে সংকোচিত হয়ে আসে।  এভাবে অনেক সময় যাওয়ার পর প্লাকের আকার অনেক বড় হয়ে যায়। ফলে হৃদপিন্ডের অক্সিজেন সরবরাহকারী ধমনী প্লাকের কারণে প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ধমনী সংকোচিত বা হার্ড ব্লক হয়ে যখন রক্ত সঞ্চালন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়, তখন রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে অক্সিজেন মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না। ফলাফলসরূপ, বুক ব্যথা শুরু হয় এবং একসময় হার্ট অ্যাটাক হয়। মূলত উপরোক্ত কারণেই হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট ব্লক মূলত হৃদপিন্ডের ধমনী ব্লক হওয়াকেই বুঝায়। সৃষ্ট প্লাকের কারণে হার্টের রক্ত সরবরাহকারী ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়াকেই হার্ট ব্লক বলে।

হার্ট দূর্বল কী বা কাকে বলে?

আমাদের দেহের মধ্যে সবচেয় গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি হলো হৃদপিন্ড। কেননা হৃৎপিন্ড প্রতিনিয়ত সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ শরীরের রক্ত প্রবাহিত ও অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। এই সংকোচন ও প্রসারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সাইনো এট্রিয়াল নোড। সাইনো এট্রিয়াল নোডের কারণে  বিদ্যুৎ তৈরি হয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের হৃৎপিন্ডে স্পন্দন সৃষ্টি হয়। যার ফলে, রক্ত প্রবাহিত হওয়ার মাধ্যমে দেহের থেকে অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। আর সাইনো এট্রিয়াল নোড যখন সিগনাল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে ব্যর্থ বা অসমর্থ হয়ে যায়, তখনই আমাদের হার্ট দূর্বল নামক রোগ হয়। মূলত সাইনো এট্রিয়াল নোডের দূর্বলতাকেই হার্ট দূর্বল বলে।

হার্টের চিকিৎসা

হার্টের চিকিৎসা

হার্ট যেহেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং এর কোনো রকম সমস্যার কারণে পুরো শরীর অকেজো হয়ে যায়, তাই হার্টের কোনো রকম সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে অবশ্যই হার্টের চিকিৎসা নিতে হবে। হার্টের স্পেশালিস্ট দেখা হবে।

তবে যেহেতু আজকের পর্বটি শুধুমাত্র হার্টের ২ ধরনের সমস্যা নিয়ে ( হার্ট ব্লক/হার্ট অ্যাটাক ও হার্ট দূর্বল ) সেহেতু এই সমস্যাগুলোর চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েই আলোচনা করা যাক। হার্ট দূর্বল এবং হার্ট ব্লক এর চিকিৎসা দুইটি প্রায় সেইম হলেও কিন্তু ভিন্নতা রয়েছে।

সাধারনত হার্ট ব্লকের বা হার্ট অ্যাটাকের জন্য কয়েক রকমের চিকিৎসা নেওয়া হয়। এগুলো হলো-

  • প্রাথমিক চিকিৎসা
  • ওপেন হার্ট সার্জারি
  • বাইপাস সার্জারি বা করনারী আরটারী বাইপাস গ্রাফটিং
  • Stenting বা স্টেনটিং/রিং পরানো

উক্ত এই চার ভাবেই মূলত হার্টের চিকিৎসা করানো হয়। তবে উন্নত বিশ্বে বর্তমানে এই চিকিৎসাগুলোর বিকল্প আরো চিকিৎসা বের হয়েছে। আজকের পর্বে হার্টের এই ৪ ধরনের চিকিৎসা নিয়েই আলোচনা করা হলো।

হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসার পাশাপাশি হার্ট দূর্বলতার চিকিৎসাও বর্তমানে অব্যহত। সাধারণত হার্ট দূর্বলতার জন্য ২ ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এগুলো হলো-

  • প্রাথমিক ডাক্তারি ট্রিটমেন্ট
  • পেসমেকার দিয়ে হার্ট সক্রিয় করা

উপরোক্ত এই ২ ভাবেই হার্টের দূর্বলতা কাটানো হয়। হার্ট দূর্বলতার ক্ষেত্রে উক্ত চিকিৎসা আশানুরূপ।

হার্ট অ্যাটাক এর চিকিৎসা

হার্ট যেহেতু শরীরের একটি অমূল্য অর্গান, তাই দেহ সুস্থ রাখতে অন্তত হার্টের যত্ন অথবা হার্ট অ্যাটাক এর চিকিৎসা নিতে হবে। বাই সিরিয়াল হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসাগুলো বর্ণনা করা হলো-

হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক চিকিৎসা

এই ক্ষেত্রে হার্টের কোনো রকম সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথেই ডাক্তারের নিকট যেতে হবে। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর যদি হার্টের কন্ডিশান ভালো  দেখে তাহলে অবশ্যই ডাক্তার রোগীকে শান্তনা দিয়ে প্রাথমিক ভাবে ট্রিটমেন্ট করবে। প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট বলতে সামান্য কিছু ঔষধ এবং দৈনিক জীবন ব্যবস্থায় সামান্য পরিবর্তন আনতে বললে। এছাড়াও খাওয়া-দাওয়া কিছু পরিবর্তন আনতে রিকোয়েস্ট করবে। আর এগুলোই মূলত হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক চিকিৎসা।

ওপেন হার্ট সার্জারি অপারেশন          

ওপেন হার্ট সার্জারি কেবল তখনই দরকার, যখন ডাক্তারগণের দেওয়া ঔষধ ও চিকিৎসা আর দেওয়া অথবা নেওয়া সম্ভব নয় বা কার্যকর নয়। ওপেন হার্ট সার্জারি করা সময় বুক বা হার্ট বরাবর কাটা হয়। তখন হার্ট ও ফুসফুসের কার্যক্রম চালোনার জন্য বাহিরে থেকে আলাদা যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। আর এই অপারেশনকেই ওপেন হার্ট সার্জারি বলে। ওপেন হার্ট সার্জারির ক্ষেত্রে বুক কেটে হৃৎপিন্ডের ধমনীতে থাকা প্লাক বা ব্লক হওয়া চর্বিগুলোকে পরিষ্কার করে রক্ত সঞ্চালনের পথ করে দেওয়া হয়। আর এটিই মূলত ওপেন হার্ট সার্জারি।

বাইপাস সার্জারি বা করনারী আরটারী বাইপাস গ্রাফটিং

বাইপাস সার্জারিটি প্রায় ওপেন হার্ট সার্জারির মতোই। তবে কিছুটা আলাদা। এই অপারেশনের ক্ষেত্রে সার্জন রোগীর পায়ের বা দেহের অন্য জায়গা থেকে সক্রিয় এবং সচল রক্তনালী কেটে নিয়ে আসে। তারপর হৃদপিন্ডের ধমনীর ব্লককৃত স্থানের ‍উপরি ভাগে এক প্রান্ত এবং নিচে এক প্রান্তু যুক্ত করে দেয়। ফলে পুনরায় সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালণ শুরু হয়ে যায়। আর এটাকেই বাইপাস সার্জারি বা করনারী আরটারী বাইপাস গ্রাফটিং বলে।

Stenting বা স্টেনটিং / রিং পরানো

হার্টে রিং পরানো বা স্টেনটিং একটি কার্যকারী হার্টের চিকিৎসা। উক্ত চিকিৎসায় প্রথমেই পা কিংবা হাতের যেকোনো জায়গায় থেকে একটি রক্তনালী কেটে রিং কিংবা স্টেনটিং অপারেশন করানো হয়। যখন প্লাকের পরিমাণ ৭০ শতাংশের বেশি হয়ে যায়, তখন দ্রুত রিং পরাতে হয়। এ ক্ষেত্রে একটি বেলুনসংশ্লিষ্ট রিং কে কাটা রক্তনালী দিয়ে রক্তনালীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করানো হয়। কম্পিউটারে নিয়ন্ত্রিণ করে ব্লককৃত স্থানে রিং টিকে পৌঁছানো হয়। তখন বাহিরে থেকে কন্ট্রোলের মাধ্যমে বেলুনটিকে ফুলানো হয়। বেলুন ফুলানোর সাথে সাথে রিংটিও প্রসারিত হয়। ফলে প্লাকটির স্থান প্রসারিত হয় এবং পুনরায় রক্ত সঞ্চালন শুরু হয়। এমতোবস্থায়, বেলুনটিকে আবার  বাহিরে নিয়ে আসে কিন্তু রিং টিকে সেই প্লাককৃত স্থানেই রেখে দেওয়া হয়। রিং – এ একটি বিশেষ ধরনের অ্যান্টি – চর্বি পদার্থ থাকে। যা ধীরে ধীরে চর্বিকে গলিয়ে দেয়। আর এ ভাবেই রিং পরানো হয় বা স্টেনটিং করানো হয়। সুতরাং এটাই হলো রিং পরানোর অপারেশন।

হার্ট দূর্বল এর লক্ষন

হার্ট দূর্বলতার চিকিৎসা সম্পর্কে জানার আগে চলুন জানা যাক হার্ট দূর্বল এর লক্ষণ সমূহ। হার্টের সমস্যা দেখা দিলে পূর্ব থেকেই অনেক রকম হার্টের সমস্যা বা লক্ষন দেখা দেয়। নিম্নে কিছু হার্ট দূর্বল এর লক্ষণ দেওয়া হলো-

  • নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় বা আটকে আটকে আসে
  • মাঝে মাঝে মনে হয় নিশ্বাস হচ্ছে না।
  • দুটি বালিশে মাথা রাখলে আরাম বোধ হয়।
  • মাথা ঘুরানো।
  • সিড়ি বেয়ে উঠতে সমস্যা হয়। অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠা।
  • সামান্য দৈহিক পরিশ্রম করলে হাঁপিয়ে উঠা।
  • শরীরে দূর্বল দূর্বল ভাব আসা।
  • হাত-পা ব্যথা করা।
  • মাঝে মাঝে বেঁহুশ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি হলো হার্ট দূর্বলতার লক্ষন।

হার্ট দূর্বল এর চিকিৎসা

হার্ট দূর্বল এবং হার্ট অ্যাটাক প্রায় একই প্রকার রোগ বা সমস্যা। তাই এ ধরনের সমস্যা বা লক্ষণ সমূহ দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আর হার্ট দূর্বলতার উপরোক্ত লক্ষনগুলো দেখা দিলে অবশ্যই হার্ট দূর্বল এর চিকিংসা নেওয়ার জন্য চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং হার্ট দূর্বল এর চিকিৎসা নিতে হবে।

হার্ট দূর্বল এর প্রাথমিক চিকিৎসা

হার্ট দূর্বলতার প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ডাক্তারগণ একই ভাবে কিছু ঔষধ এবং জীবন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। যদি এসব কিছুর মাধ্যমে হার্ট দূর্বলতা না কাটে বরং দিন দিন হার্ট দূর্বলতা বৃদ্ধি পায়, তাহলে পেসমেকারের শরাপন্ন হতে হবে।

হার্টের দূর্বলতা কাটাতে পেসমেকার

পেসমেকার হলো কৃত্রিমাভাবে তৈরি করা একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র। উক্ত যন্ত্রের মূল কাজ হলো আমাদের হৃৎপিন্ডে কৃত্রিমভাবে বিদ্যুৎ সিগনাল তৈরি করা। অপারেশনের মাধ্যমে সার্জন বুকে পেসমেকার টি ফিট করে দেয়। এবং এর ২-৩ টি কোর থাকে। সেই কোর দিয়েই সিগনালটি তৈরি হয়। এক একটি পেসমেকার ৫-১০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। লিথিয়াম ব্যাটারির তৈরি পেসমেকারগুলো বর্তমানে ১০ বছরের বেশি স্থায়ী হয়ে থাকে। মেয়াদ শেষ হলে আবার নতুন পেসমেকার লাগাতে হয় বা ব্যাটারিটি রিনিউ করলেই হয়। আর এটাই হলো মূলত হার্টের দূর্বলতা কাটাতে পেসমেকারের ব্যবহার। এভাবেই পেসমেকারের অপরেশন হয়।

এতোক্ষণ জানলাম হার্ট দূর্বলতার ক্ষেত্রে পেসমেকারের অপরেশন এবং হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসাগুলো। কিন্তু আগ থেকেই কীভাবে হার্টকে ভালো রাখা যায় তার সম্পর্কে এখন জানবো।

হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায় বা হৃৎরোগ প্রতিরোধের উপায়

হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায় বা হৃৎরোগ প্রতিরোধের উপায়

এতোক্ষণ তো জানলাম হার্টের সমস্যাগুলো ও হার্টের চিকিৎসাগুলো। কিন্তু আমাদের তাও জানা উচিত যে, কীভাবে আমরা হৃৎরোগ প্রতিরোধ করাতে পারবো বা হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে। সুতরাং চলুন জানা যাক হার্ট ব্লক প্রতিরোধ করতে কী কী করতে পারি পূর্বে থেকেই।

এখানে টার্গেটেট কিছু উপায় দেওয়া হলো, যেগুলোর মাধ্যমে আমরা হার্টকে ভালো রাখতে পারি। সুস্থ্য হার্ট রাখতে নিম্নক্তো উপায়গুলো অনুসরণ করা যায়-

  • ধূমপান বর্জন করা
  • স্থুলতা হ্রাস করা
  • মানসিক ও শারীরিক চাপ থেকে মুক্তি থাকা
  • মধ্যপান পরিহার করা
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা
  • ভারসাম্যপূর্ণ ওজন রাখা
  • উচ্চ রক্ত-চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা
  • চর্বিযুক্ত খাবার বর্জন করা
  • অতিরিক্ত লবণ না খাওয়া

উপরোক্ত উপায়গুলোর মাধ্যমে একজন তার হার্ট বা হৃৎপিন্ডকে পূর্ব থেকেই ভালো রাখতে পারে। এখানে বলে রাখা ভালো যে আমরা সবাই খুঁজি হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায় কিন্তু সংখ্যাঘরিষ্ঠই কিন্তু উপায়গুলো সম্পর্কে অব্যাহত হওয়ার পর আর মান্য করি না। কেউ-বা হয়তো কয়েকদিন মান্য করে আবার দৈনন্দিন লাইফ-স্টাইল পূর্বের ন্যায় শুরু হয়। তাই তাদের সুবিধার্থে আমাদের করণীয় হলো এরকম স্টেপগুলো মান্য করে যথারীতি লাইফস্টাইল চেঞ্জ করা। নয়তো বা আমরা যতই হার্ট ব্লক দূর করার উপায় জানি না কেন, এতে কোনো লাভ নেই। বিশ্বে হাজার হাজার সাইটে হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে আর্টিকেল আছে কিন্তু কী লাভ হচ্ছে এতে? কেউ কী তা পড়ে মান্য করে উপকৃত হচ্ছে? আর হলেও কত জন হচ্ছে? দৈনিক হাজার হাজার সুস্থ্য মানুষ হার্টের রোগীতে পরিণত হচ্ছে শুধু মাত্র তাদের উদাসীনতার কারণে। সার্বিকভাবে বিবেচনা করে আমাদের বিষয়টিকে খতিয়ে দেখতে হবে।

বাংলাদেশে বর্তমানে তরতর করে হার্টের রোগী বাড়ছে। ২০২০ সালে একটি সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে মোস্ট অব দা রোগীই হলো হার্টের সমস্যা জনিত। যেসব রোগী ডাক্তারের নিকট যায়, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে তারাও জানতে যে কীভাবে হার্টের রোগ থেকে বাঁচা যায় বা হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায়গুলো সম্পর্কে। কিন্তু প্রশ্ন হলো এগুলো জানার পরও কেনো তারা হার্টের রোগে আক্রান্ত হলেন? ঐ একই কারণ। অবহেলা এবং উদাসীনতা। সুতরাং বোঝাই গেল হার্টের বিষয় নিয়ে আমাদের উদাসীন হওয়ার কোনো রকম চাঞ্জ নেই। কোনো ভাবেই উদাসীন হওয়া যাবে না। বরং ছোট একটি হার্টে সমস্যা দেখা দিলেই অভিজ্ঞ ডাক্তারের নিকট সরাপন্ন হতে হবে।

হার্টের ব্লক দূর করার উপায় সম্পর্কে আরো জানতে দেখুন

https://youtu.be/TBSHZU4lt_s

Sadia Afroz Niloy

Hey! I am Sadia Afroz Niloy! A student and passionate writer. I love to write blog and connect people Realtime. Send business proposal at [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button