Health

কলার উপকারিতা | কলা খাওয়ার ৮টি উপকারিতা

কলার উপকারিতা

সাধ্যের মধ্যে যদি শরীরের ক্যালরির চাহিদা যথাপোযুক্তভাবে মেটানো যায়, তবে কেমন হয়? হ্যাঁ, এটা অবশ্যই সম্ভব কলার উপকারিতা র মাধ্যমে। সাধারণত ফলমূলের মধ্যে কলা হলো একটি সহজলভ্য ও ক্যালোরিতে ভরপুর একটি সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর ফল। কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ, মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, আয়রণ ও সকল প্রকার পুষ্টি উপাদান। এছাড়াও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালরি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। ( ঘাড়ে বেশি ব্যথা হলে যা যা করবেন এবং হার্ট ব্লক হলে যেসকল করণীয়, সেগুলো সম্পর্কে জানুন )

স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি এসব পুষ্টিগুণ ছাড়াও ফলটি হলো মুখরুচিকর। সুমিষ্ট ফল হওয়ায়, কলা খেতে অনেক ডায়াবেটিস রোগীরা ভয় পায়। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বরং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কলা বেশ উপকারি ফল।

যদিও শুনতে অবাক লাগে কিন্তু তবুও সত্য, পৃথিবীতে অনেক প্রকার রোগ বা অসুখ আছে যা মেডিসিনের চেয়ে কলা বেশি কার্যকারী। সব-সময় চটজলদি হাতের নিকটে মিলে যায় এই ফল। দামের দিক থেকে ফলের গুণাগুণ অনেক বেশি। মধু যেমন উপকারি তেমনি কলাও বেশ উপকারি। ( ভিটামিন ডি এর সকল খাদ্যগুলো সম্পর্কে অবগত হোন )

কলা খাওয়ারও সময় বা টাইম মেনে চললে মুক্তি পাওয়া যায় অনেক রোগ থেকে । যেমন সকালে কলা খাওয়ার এবং রাতে বা শুয়ার আগে কলা খাওয়ার উপকারিতা এক নয়। ঠিক একই ভাবে খালি পেটে কলা খাওয়ার এবং ভরা পেটে কলা খাওয়ার উপকারিতাও সেইম নয়। গরমকালে যেমন উপকার ঠিক তেমনি কিন্তু শীতকালে নয়। ক্লান্ত বা দূর্বল শরীরে কলা একটি নিয়ামত সরূপ।

সার্বগ্রিকভাবে চিন্তা এবং যুক্তি দিলে কলা সহজলভ্যতা, সময়োপোযুগী এবং পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। সকল বয়সের এবং সকলেই কলা খেতে পারেন। ভুল ধারণাবশত অনেক এলার্জি দ্ধারা আক্রান্ত রোগী কলা এড়িয়ে চলেন কিন্তু এই ক্ষেত্রে কলার প্রতি তাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল এবং ভিত্তিহীন। তাই যেহেতু করা একটি সহজলভ্য ফল, তাই নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং সকল বয়সের মানুষদের কলা খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ এবং অস্বাস্থ্যকর। কলা ভক্ষণের সময় এই দিকটি বিবেচনা করতে হবে।

কলার খাওয়ার উপকারিতা

কলার খাওয়ার উপকারিতা

এতোক্ষণ অনেক কিছু জানলাম কলা ফল সম্পর্কে। এবার চলুন জানা যাক কলার উপকারিতা সম্পর্কে। তবে আলোচনার আগে কয়েকটা বিষয় পরিষ্কার করে নেওয়া যাক। অবস্থা ভেদে কলা অনেক উপকারি। যেমন কাঁচা কলা-পাঁকা কলা, সকালে কলা খাওয়া-রাতে, খালি পেটে-ভরা পেটে ইত্যাদি। এখন আমাদের আলোচনা এবং বুঝার সুবিধার্থে প্রাথমিক অবস্থায় কলার সামগ্রিক উপকারিতার দিকটি নজরে দেওয়া যাক। সুতরাং চলুন জানা যাক কলার উপকারিতা সিরিয়াল চার্ট-

  • কলা হারানো শক্তি ফিরিয়ে আনে
  • বিষণ্ণতা এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে
  • উচ্চ রক্তাচাপ বা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে
  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে
  • রক্তস্বল্পতা দূর করে
  • সন্তানসম্ভব্য নারীদের জন্য উপকারি
  • কোষ্ঠকাঠিন্যতা ‍দূর করে
  • পাকস্থলির আলচার নিরাময় করে

উল্লেখিত এইসব উপকারিতা ছাড়াও কলার আছে আরো অনেক অনেক উপকারিতা। আজকের আলোচনায় উপরোক্ত বিষয়গুলোকেই কভার করা হলো।

কলা খাওয়ার উপকারিতা হলো-

হারানো শক্তি ফিরিয়ে আনতে কলা

কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি। সব রকমের পুষ্টিগুণ সঠিকভাবে কলাতে থাকায় অনেক সময় খেলোয়ারদের মাঠে কলা খেতে দেখা যায়। পরিশ্রম শেষে কলা খেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই হারানো বা ক্ষয় হওয়া দৈহিক শক্তি আবার ফিরে আসে।

বিষণ্ণতা ও মানসিক চাপ রোধে কলা

পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য হিসেবে কলাতে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং এমাইনো এসিড। বিষণ্ণতা দূর করতে এমাইনো এসিড ব্যাপক ভূমিকা রাখে এবং মানসিক চাপ বা হতাশা দূর করতে ম্যাগনেসিয়াম বেশ কার্যকারী ভূমিকা রাখে। তাই বিষণ্ণতা ও মানসিক চাপ দূর করতে কলা খেতে হবে।

ব্লাডপ্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কলা

কলাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং সামান্য পরিমাণে লবণ থাকায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করা বেশ কার্যকারী। যেসব ব্লাডপ্রেসার রোগী দীর্ঘদিন যাবত উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে, তারা কলা থেকে ভালো উপকার পেতে পারে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে কলা

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন অন্তত একটি করে কলা খায়, তাদের স্মৃতিশক্তিতে অনেকটা পরিবর্তন লক্ষণ করা যায়। তাদের স্মৃতিশক্তি আগের চেয়ে সার্প হয়। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে বাদাম এর মতোই করা বেশ উপকারি। তাই স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে আমাদের প্রতিনিয়ত কলা খেতে হবে।

রক্তস্বল্পতা দূর করে

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। কলাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ থাকায় এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। ফলাফলসরূপ, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায় রক্তস্বল্পতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আছে এনিমিয়া রোগের প্রতিকার। কলা খেলে রক্তস্বল্পতার পাশাপাশি এনিমিয়া রোগ থেকেও প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।

সন্তানসম্ভব্য নারীদের জন্য কলা

গর্ভকালীন সময়ে নারীদের খাদ্য খেতে হয়। এ সময়ে নারীরা অনেক অসুখের সম্মখীন হতে হয় এবং নানা রকম দূর্বলতায় ভুগতে হয়। সেজন্য সকালের দূর্বলতা কাটাতে নারীরা এই ক্ষেত্রে কলা খেতে পারে। কলাতে আছে শর্করা। যা দূর্বলতা কাটাতে সহায়তা করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করতে কলা

কলাতে অন্য পুষ্টিগুণের পাশাপাশি আরো আছে ফাইবার। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যতার সমস্যা আছে, তারা কলা খেতে পারে। করা কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করতে বেশ কার্যকারী।

পাকস্থলির আলচার নিরাময়ে কলা

আমাদের পাকস্থলিতে খাদ্য হজমে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোক্লোরিক এসিড নির্গত হয়। বিভিন্ন কারণে এই এসিড পাকস্থলিতে ক্ষয় এবং তা আলচারে পরিণত হয়। কলা খেলে এসব ক্ষয় বা আলচার হতে মক্তি পাওয়া যায়। কলা ক্ষার জাতীয় পদার্থ হওয়ায় এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে পাকস্থলির অতিরিক্ত অম্লতা ভাব দূর করে। এতে করে পাকস্থলির আলচার নিরাময় হয়।

এগুলো মূলত সার্বিকভাবে কলা খাওয়ার উপকারিতা। তবে এখানে অনেক বিষয় আছে, যেগুলো বর্ণা করা হয় নি কিন্তু কলা বক্ষণে এসব উপকার পাওয়া সম্ভব। চলুন এবার জানা যাক কলা খাওয়ার সময় নিয়ে।

কলা খাওয়ার সময়

কলা খাওয়ার সময়

কলা কখন খাবেন বা কখন খাবেন না? সাধারণভাবে একজন ব্যক্তি যেকোনো সময় তার উপযুক্ত সময় অনুযায়ী কলা খেতে পারে। এমনিতে কলা খাওয়ার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া বা ঠিক করা নেই। ব্যক্তি বিশেষের ইচ্ছার উপর অনেকটা ডিপেন্ড করে। তবে যদি বৈজ্ঞানিক বা গবেষকদের ভাষায় বলতে হয়, তাহলে কলা খাওয়ারও কিছু উপযুক্ত সময় আছে। আর এই উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে উপকারিতার উপর নির্ভর করে। এমনিতে স্বাভাবিকভাবে কলা খাওয়ার উপযুক্ত সময় হচ্ছে ২ টি। কলা খাওয়ার সঠিক সময় হলো-

  • সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
  • রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা

এই দুই সময়ে কলা খেয়ে ভালোভাবে উপকৃত হতে পারবো।

সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা

কম সময়ে এবং সহজলভ্য ভাবে ক্যালরির চাহিদা মেটাতে করার বিকল্প অন্য ফল নেই। অর্গানিকভাবে চাষকৃত কলা দেহ ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বেশ কার্যকারী। তবে সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা  অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। সকালবেলাতে যেহেতু সবাই কাজ করতে ঘর থেকে বের হয়, তখন সারাদিনের ক্যালরির ঘাটতি পূরণ করতে কলা খাওয়া উচিত। কলা খেয়ে বের হলে সারাদিন ক্যালরির ঘাটতি হয় না। সকালে কলা খেলে শরীরে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পায় না। প্রতিদিন সকালে কলা খেলে হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সারাদিনের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালে কলা খাওয়ার বিকল্প নেই।সারাদিনের অতিরিক্ত কাজে দেহে যাতে পানি শূণ্যতা ক্রাশ করতে না পারে, সেজন্য সকালে কলা খেতে হবে। এছাড়াও আছে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করতে কলা বেশ ভালো কার্যকারী। সকালে কলা খাওয়ার বহুমুখী উপকারিতার জন্য প্রত্যেকের উচিত প্রতিদিন সকালে অন্তত একটি করে কলা খাওয়া। এছাড়াও চুলের যত্নেও কলার বেশ ভূমিকা রয়েছে।

শারীরিক চাহিদা পূরণকে লক্ষ্য করেও অনেকে সকালে কলা খায়। তবে সামগ্রিকভাবে বললে সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। কলা যেহেতেু আমাদের শরীরের এনার্জি হিসেবে কাজ করে, সেহেতু কলার উপকারিতা দিকটি অবহেলার কোনো রকম কারণ নেই।

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা

রাতে বেশি খাবার খাওয়াই নিষিদ্ধ। তবে কলার ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। কলা হলো একটি ঠান্ডা জাতীয় ফল। যেসব ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন অথবা এখন সর্দি বা ঠান্ডিতে ভুগছেন, তাদের জন্য বর্তামানে রাতে কলা না খাওয়াই উত্তম। রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক কিন্তু অপকারিতাও আছে। রাতে কলা খাওয়ার আরেকটি অপকারিতা হলো- রাতে কলা খেলে হজমে কিছুটা বিঘ্নতা ঘটতে পারে।

কিন্তু রাতে কলা খেলে আবার অনেকভাবে উপকৃতও হতে পারি। যেমন- সারাদিনের পরিশ্রম শেষে যখন সন্ধ্যায় বা রাতে কলা খাই, তখন কিছুক্ষণের মধ্যেই সারাদিনের ক্ষয় হওয়া শক্তি ফিরে পাই। শরীরের আয়রণের ঘাটতি দূর করতে কলা সাহায্য করে। এছাড়া কলা কোষ্ঠকাঠিন্যতার জন্য বেশ উপকারি। রাতে যাদের উচ্চ রক্তচাপের ফলে মাথা ব্যাথা তৈরি হয়, তাদের জন্য কলা নিয়ামত সরূপ। সার্বিকভাবে বিবেচনা করলে রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক এবং তা বেশ কার্যকারী।

মোটামোটি কলার উপকারিতা সম্পর্কে প্রত্যেকের একটি সম্মুখ জ্ঞানের ধারণা হলো। দিন শেষে আমাদের হারানো শক্তি যেহেতু পিরিয়ে আনার খুবই জরুরি, তাই কলাও খাওয়াও জরুরি। আর সেই প্রেক্ষিতে রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতার দিকটি এখানে স্পষ্ট যে হারানো শক্তি ফিরিয়ে আনতে কলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল।

পাকা কলার উপকারিতা

কলা খেতে প্রায় সবাই পছন্দ করেন। তবে অনেকেই পাকা কলাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আর করবেই না বা কেন? পাকা কলার উপকারিতা যে অনেক। পাকা কলায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায়, কোষের ক্ষতি হওয়া হতে রক্ষা করে। আমাদের চারপাশে নানা রকম রেডিয়েশন এবং দূষণ। এর ফলে আমাদের শরীরের কোষগুলো প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং তা থেকে উত্তরণের জন্য প্রকৃতিকভাবে কলা বেশ কার্যকারী। কলা যখন পাকে, তখন কলাতে বেশি পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। আর ক্যালসিয়াম ‍উচ্চরক্তচাপ রোগীদের জন্য অনেক উপকারি। পাকা কলাতে সুগার এবং কার্বোহাইড্রেট থাকায় পরিশ্রমের পর কলা খেলে হারানো শক্তি খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসে। এছাড়া আছে পাকা করার অনেক উপকারিতা। কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করতে, মানসিক বিষণ্ণতা দূর করতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে, রক্তে হিমোগ্লোবিনের চাহিদা মেটাতে কলার উপকারিতা অনেক। সার্বিকভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পাকা কলার উপকারিতা ও কার্যকারীতা বেশ আশানুরূপ। তাই শরীর ও মন ভালো রাখতে পাকা কলা খেতে হবে।

কাঁচা কলার চেয়ে পাকা কলার উপকারতা অনেক। কেননা কলা যখন পেকে যায়, তখন তাতে একটি বিশেষ প্রাকৃতিক ক্যামিকেল তৈরি হয়, যা আমাদের শরীর তথা মনের জন্য ভালো। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অসুখ থেকেও বাঁচতে পাকা কলা খুবই উপকারি।

কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা

কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা

কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতার দিকটিও এড়িয়ে যাবার মতো নয়। কলার মতোই কাঁঠালি কলাতে আছে অনেক উপকারিতা। কাঁঠালি কলা খাওয়ার মাধ্যমে অনেক রোগ-অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করতে এবং রক্তশূণ্যতা দূর করতে কাঁঠালি কলা বেশ উপকারি। পাশাপাশি আছে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা। তাই বলা যায় যে কাঁঠালি কলা খাওয়র উপকারিতা শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বেশ কার্যকরী। এছাড়াও কাঁঠালি কলা আমাদের দেহ কে ঠন্ডা রাখে। যাদে শরীরে অস্থির অস্থির ভাবে থাকে,তাদের জন্য কাঁঠালি কলা বেশ উপকারি এবং এসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বাংলাদেশে বর্তমানে বানিজ্যিকভাবে কাঁঠালি কলা উৎপাদন হচ্ছে। তাই যেকোনো মূহের্তেই দোকান-পাট বা বাজার থেকে কাঁঠালি কলা ক্রয় করা যেতে পারে। যেহেতু কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক, তাই আমাদের উচিত দৈনিক একটা করে হলেও কাঁঠালি কলা খাওয়ার চেষ্টা করা।

কলা খাওয়া সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর

কলা খাওয়া সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর

খালি পেটে কলা খেলে কী হয়?

যেহেতু কলায় সুগার রয়েছে, সেহেতু  খালি পেটে কলা খেলে শরীরে বাজে প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে। খালি পেটে কলা খেলে শরীরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে এসিড হতে পারে। খালি পেটে কলা খাওয়ার আরেকটি মুখ্য অপকারিতা হলো রক্তে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর মাত্রার বিঘ্নতা ঘটে। তাই একদম খালিপেটে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

বেশি কলা খেলে কি হয়

পৃথিবীতে কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়।হোক সেটা কলা কিংবা অন্য কিছু। কলা যখন পেকে যায়, তখন কলাতে প্রচুর পরিমাণে ট্রিপটোফান থাকে। আর যখন এই পাকা করা খাই, তখন ট্রিপটোফান সেরোটিনেনে পরিণত হয়। আর এই উপাদান আমাদের নার্ভাস সিস্টেমকে সচল এবং ঠান্ডা রাখে। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে অতিরিক্ত কলা না খেয়ে প্রোপার ওয়েতে কলা খেলে বেশি কলার উপকারিতা পাওয়া সম্ভব।

উপরোক্ত কলার একটি দীর্ঘ আলোচনা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে শরীর ও মন ভালো ও সুস্থ্য রাখতে কলার ভূমিকা অপরিসীম। নিয়মমাফিক এবং সঠিক পদ্ধতিতে কলা খেয়ে কলা দ্ধারা প্রত্যেকে উপকৃত হতে পারে। তাই নিয়মিত কলা খেতে হবে এবং এর উপকার দ্ধারা উপকৃত হবো।

কলার উপকারিতা সম্পর্কে আরো জানতে

https://youtu.be/CipCYPPKmhg

Sadia Afroz Niloy

Hey! I am Sadia Afroz Niloy! A student and passionate writer. I love to write blog and connect people Realtime. Send business proposal at [email protected]

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button